আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ২০২০সালে মার্চ মাসে যোগদান করি।যোগদানের পরপরই করোনা মহামারীর জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে যায়।আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৩০কি.মি।মহামারীর সময় যে কদিন স্কুলে যেতে হয়েছিল খুব কষ্ট করে যেতাম।আমার বাবুর বয়স তখন ১বছর।যাতায়াতের ব্যবস্থা খুব একটা ভালো না।প্রথমে অটোভ্যানে,তারপর বাসে,তারপর সিএনজি, তারপর আবারও অটোতে। সময় লাগতো দের- দুই ঘন্টা। কখনো কখনো আরও বেশি।
সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লাগতো সিএনজি তে।পাঁচজন না হলে তারা যায় না। কোনো কোনোদিন ভাড়া বেশি দিয়ে যেতাম।দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললো। রোজ রোজ একই অবস্থা। আমার ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। সবচেয়ে বড়কথা সময়মতো স্কুলে যেতে পারতাম না।খুব খারাপ লাগতো। এরপর হাসবেন্ড এর অনুপ্রেরনায় স্কুটি কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম।
পরিবারের অনেকেই রাজি ছিলো না।এমনকি আব্বু-আম্মুও ভয় পাচ্ছিলেন। সবকিছুর বিরূদ্ধে গিয়ে গত ঈদের ছুটিতে স্কুটি কিনেই ফেললাম। আলহামদুলিল্লাহ হাসবেন্ড এর সাহায্যে শিখেও ফেললাম খুব তাড়াতাড়ি। ঈদের ছুটি শেষে স্কুটি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু করলাম।আলহামদুলিল্লাহ সময়মতো স্কুলে যেতে পারি।তবে আরও একটা ভালো খবর, গত নভেম্বরে অনলাইন বদলির প্রথম ধাপে আমার বদলির আবেদন অনুমোদন হয়।এখন আমার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ১০কি.মি। যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব ভালো। তবে আমি স্কুটিতেই যাতায়াত করি।সব কিছুর জন আলহামদুলিল্লাহ।
রওশন আরা
ফাঁসিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা
সূত্র: ফেসবুক