শিবগঞ্জ পৌরসভার রসুলপুর-শেখটোলা-স্টেডিয়াম-কারবালা-হাসপাতাল-উপজেলা পরিষদ-পাইলিং মোড় দিয়ে সড়ক ও জনপদের যে সড়কটি রয়েছে তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারও যানবাহন ও পথচারি চলাচল করে। এ সড়কের মনাকষা মোড়টি অন্যতম জনবহুল হওয়ায় এখানে প্রতিদিন তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ যানজটের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় পৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই অপরিকল্পিত দোকান-পাট, রেস্তোরা, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি গড়ে উঠা। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সড়কের জায়গাগুলো নির্মাণ করেছে। তাছাড়া সড়কের উপরে যত্রতত্র অটো, সিএনজি, মাহেন্দ্রা, ভুটভুটি পার্কিং করা হয় প্রতিদিনই। শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আব্দুল বাতেন বলেন এ মোড়টি যানজট মুক্ত রাখতে পৌরসভা থেকে প্রতিদিন ২ শিফ্টে পৌর ট্রাফিক মোতায়েন থাকে। মাঝে মাঝেই সিএনজি, অটো চালকরা পৌর ট্রাফিকের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়।
সরেজমিনে স্থানটি পরিদর্শনে দেখা গেছেকয়েকটি রেস্টুরেন্ট শিবগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনের উপর চুলা নির্মাণ করেছে। যা থেকে আগুন, গরম তেল, গরম পানি ছিঁটে পথচারিরা দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে।রাস্তায় এক পাশে ড্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও এবং তা প্রতিদিন পরিষ্কার করা হলেও রেস্টুরেন্ট সহ আশে পাশের দোকান গুলোর ময়লা আবর্জনা গুলো ডাস্টবিনে না ফেলে রাস্তায় ফেলে দেয় সেখানে ড্রেনের পানি নিস্কাাষন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, হোটেল প ও রেস্তোরার মালিকেরাকে একাধিকবার রাস্তার পাশ থেকে চুলা সরিয়ে নিতে ও ড্রেনে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য নির্দেশ দিলে গ্রাহ্য করছে না।শিবগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান- সড়কটির প্রস্থ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সংকীর্ণ। প্রয়োজন সড়কটি প্রশস্ত করা। সড়কটি সড়ক ও জনপদের হওয়ায় পৌরসভা সড়কটি প্রশস্ত করার ক্ষমতা রাখে না। মোড়টিতে পুলিশের টহল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমেঅবৈধ স্থাপনা অপসারণ এবং রাস্তার উপর অটো, সিএনজি, মাহেন্দ্রা, ভুটভুটি দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধ করতে পারলে মোড়টি যানজট মুক্ত হবে। এ ব্যাপারে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন, শিবগঞ্জ মনাকষা মোড় থেকে রসুলপুর মোড় পর্যন্ত অতিরিক্ত যানজট রোধেএখানে একটি একজন পুলিশ নিয়োগ দেয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।