রোগীদের জীবন নিয়ে জুয়ায় মেতে উঠেছে কতিপয় ক্লিনিক মালিকরা। পত্নীতলার উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকের সহকারী সার্জন হিসাবে কাজ করছেন একাধিক ব্যক্তি। যাদের নেই কোন সহকারী সার্জনের সনদ। আছে শুধু কেবল মাত্র ৫ম শ্রেণী, ৮ম শ্রেণী, এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করা সনদ। দির্ঘ্যদিনের অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে পত্নীতলার ডক্টরস ক্লিনিকে সহকারী সার্জন হিসাবে কাজ করছেন সজ্ঞিত কুমার ( এসএসসি ) ও মোছা: সালমা ( এইচএসসি), দি ল্যাব এইড ক্লিনিকে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর রবি (এসএসসি ) ও মোছা: সুলতানা (৮ম শ্রেণী ), পদ্মা ক্লিনিকে মো: মামুনুর রশিদ (এসএসসি) ও মোছা: আরজিনা আক্তার ( ৫ম শ্রেণী ), পুপলার ক্লিনিকে মো: জুয়েল রানা (৮ম শ্রেণী), কল্পনা ক্লিনিকে মো: জালাল উদ্দিন( এসএসসি) ও মোছা: মায়া খাতুন ( ৮ম শ্রেণী), ফাতেমা ক্লিনিকে মোছা: মুন্নী আক্তার ( ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার ), মুক্তি ক্লিনিকে মোছা: রোকসানা ( ডিপ্লোমা নার্স ), হলি ক্লিনিকে সেতু ( এসএসসি ) ও চপল ( ডিএমএফ ), জমজম ক্লিনিকে মিনা ( এসএসসি) পাশ করা।
এবিষয়ে এলাকার সুধিসমাজ বলেন, আমাদের পত্নীতলায় অধিকাংশ ক্লিনিকই মানব সেবা নামে মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলায় মেথে উঠেছে। কিন্তু ভালো মানের ক্লিনিক না পাওয়াই আমরা নিরুপায় হয়ে তাদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের অপারেশন করি। এসব বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা অতিবপ্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, একটি অপারেশনের জন্য তিনজন ডাক্তার থাকতে হবে। যাদের যোগ্যতা সর্বনিন্ম এমবিবিএস হতে হবে।