বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু কলা ইনিস্টিটিউট আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মাধ্যমে নীরবে যাঁরা পরিবর্তন ঘটাতে অবদান রেখেছেন তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছে যুব বাংলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু কলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র শিক্ষকরা ১৯৮৯ সালে, বর্তমান চারুকলা ফ্যাকাল্টি, মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়েজনের সূচনা করেন। এক পযার্য়ে এই ধারনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও অনুসরণ করা হয়। বাঙ্গালীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে চারু কলা ফ্যাকাল্টির ডিন নাসির হোসেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সোমবার নগরীতে আয়োজিত জয় বাংলা যুব অ্যাওর্য়াড প্রদান অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নাসির হোসেনের এই অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয়। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যুব বাংলা দেশের ঐতিহ্য লালনের স্বীকৃতি হিসাবে ’পাথফাইন্ডার অব ৫০’ নামে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে নেতৃত্ব, সেবা, উদ্যোগ এবং গবেষণার মাধ্যমে জাতি গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ব্যক্তি পর্যায়ে এটি বিশেষ স্বীকৃিত।
সেন্টার ফর রিচার্স এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর যুব শাখা যুব বাংলার দেয়া অ্যাওর্য়াড বিজয়ীর মধ্যে অধ্যাপক নিসার হোসেন একজন।
সিআরআই’র ট্রাস্টি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের হাত থেকে এই অ্যাওর্য়াড গ্রহনকালে অধ্যাপক নিসার হোসেন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার উদ্যোগ সমূহের একটি হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রা । তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস ভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধা দিয়ে এই চেতনা এগিয়ে নিয়ে যাবে। ’পাথফাইন্ডার অব ৫০’ অ্যাওর্য়াড অপর বিজয়ী হচ্ছে, বাংলাদেশী সমাজকল্যাণ সংগঠন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে ৪২ জেলায় এর শাখা করা হয়।
সাম্প্রতিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের সমাহিত করা থেকে সমাজের সাধারন মানুষ যখন দূরে সরে যাচ্ছিল, তখন এই সংগঠনের কর্মীরা এগিয়ে আসেন এবং নিজেরা এই কাজটি সম্পন্ন করে সমাজে নজির স্থাপন করেন।
আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের যুগ্ম পরিচালক হারুন অর রশীদ সংগঠনের পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন।
সুন্দরবন এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহে বিশেষ অবদান রাখায় রুবাইয়াত মনসুর এবং এলিজাবেথ ফাহরনি এই অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। (বাসস)।