প্রযুক্তির উৎকর্ষে তরুণ-তরুণীরা প্রতিনিয়ত বিনোদন খুঁজে ফিরছে কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনের পর্দায়। তন্মধ্যে পাবজি ও ফ্রী- ফায়ার একটি মোবাইল ডিভাইস প্রোগ্রাম। বর্তমানে তরুণ তরুণীদের পছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনিত হয়েছে গেমিং সিস্টেম প্রোগ্রাম। এই গেমিং সিস্টেম প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণ তরুণীরা বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস গেমস খেলে বিনোদন পেয়ে থাকেন, ফলে এই ডিভাইস গেমস খেলার কারণে তরুণ তরুণীদের আকর্ষণটা চলে যাচ্ছে আসক্তির পর্যায়ে।
অবাক করার বিষয় হলো বিভিন্ন ডিভাইস গেমস খেলার প্রতি নেশাকে একটি মানসিক রোগ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে এই ডিভাইস গেমসের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। লাঙ্গল বাঁধের পাশ্ববর্তী এলাকা যেমন- উলুবাড়িয়া,বন্দেখালি, চর মালিথীয়া, নতুন ভুক্ত মালিথীয়া, মাশালিয়া, ঠাকুর মালিথীয়া, চাকদা ও চর চাকদা সহ লাঙ্গল বাঁধের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণ তরুণীরা মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।
লাঙ্গল বাঁধের স্কুল কলেজের বেশ কয়েক জন শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উঠতি বয়সের অধিকাংশ তরুণ তরুণী পড়া লেখা বাদ দিয়ে মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে,যার ফলশ্রুতিতে সমাজে ব্যাপক সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ ছাত্রের সাথে জাগো কন্ঠের প্রতিনিধি কথা বলে জানতে পারে কলেজের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই তাদের একাডেমিক কার্যক্রম ফেলে রেখে গেমস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, এমনকি গেমস খেলে সারাটা দিন অতিবাহিত করে দেন। গেমসে আসক্ত হয়ে তারা খারাপ কাজও করতে দ্বিধাবোধ করেন না।
সুশীল ও বিজ্ঞজনদের আবেদন আগামীর এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।