অধ্যক্ষসহ অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও নিয়োগ হচ্ছে না পলাশবাড়ী মাদ্রাসায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০১:১৬ অপরাহ্ন

সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও নিয়োগ হচ্ছে না পলাশবাড়ী মাদ্রাসায়

দিনাজপুরের চিরিবন্দর উপজেলার পলাশবাড়ী জব্বারিয়া সিনিয়র ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও নিয়োগ পাচ্ছেন না মো. হুমায়ুন কবির নামের একজন প্রার্থী। নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লীরও কোন মতামত নেয়া হচ্ছে না। উদ্ভুত পরিস্থিতে মাদ্রাসার সভাপতি, সদস্য এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এরইমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা শাখা-০৩।  

গত ১১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা শাখা-০৩ এর সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর একই ব্যক্তি স্বাক্ষরিত অপর এক আদেশে পলাশবাড়ী জব্বারিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মো. হুমায়ুন কবিরকে 'অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগপত্র প্রদান না করার অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিতে বলা হয়। তবে তারপরও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় গত ১১ জানুয়ারি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজিকে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত বছরের নভেম্বরে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে এক আবেদনের মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি জানান সংশ্লিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার দাবিদার মো. হুমায়ুন কবির। আবেদনটিতে তিনি বলেন, গত বছরের ১২ জুলাই "দৈনিক ইনকিলাব" পত্রিকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি যোগ্য প্রার্থী হিসাবে আবেদন করি। গত ৩ নভেম্বর লিখিত মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় সবোর্চ্চ নম্বর পেয়ে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি আমাকে নিয়োগ পত্র দিবে বলে আজ না কাল না পরশু টালবাহানা করে দীর্ঘ দিন যাবৎ ঘুরাচ্ছে। আমি মাদ্রাসায় গেলে অমানবিকভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি উক্ত মাদ্রাসায় নিয়োগ গেলে প্রাণ নাশের হুঁমকি নিয়ে বেঁচে আছি। মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি আমাকে মেধা তালিকার প্রথমস্থান হিসাবে মৌখিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, আমাকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাও। আমি কমিটির সবাইকেই ম্যানেজ করব, তোমার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দিব। গত ১৭ নভেম্বর মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির (সভাপতি ও অধ্যক্ষের পক্ষে) সহ-সভাপতি মাওলানা শরীফ উদ্দিন রাত ৮ টার সময় আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের সবাইকে হুঁমকি দেয়। নিয়োগ বাতিলের পক্ষে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন যে, মেধা তালিকায় থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হবে না, আমরা নিয়োগ না দিলে ডিজি নিয়োগ দিতে পারে! টাকা না দিলে কিভাবে নিয়োগ বহাল করে আমরা দেখে নিবো।

সুলতান মাহমুদ নামের আরেকজন নিয়োগপ্রত্যাশীও মাদ্রাসটির অধ্যক্ষ এবং ম্যানেজিং কমিটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রালয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

এছাড়া মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ঘিনা মোহাম্মদ শাহ ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী মো. শফিকুল ইসলাম গত ৭ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক আবেদনের মাধ্যমে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেন। মোতাওয়াল্লীকে কোন কিছু না জানিয়েই দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগসহ বিভিন্ন আর্থিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মো. শফিকুল ইসলাম।

 




সারাদেশ - এর আরো খবর

শিবগঞ্জে অটো চার্জারের ধাক্কায় শিশু নিহত

শিবগঞ্জে অটো চার্জারের ধাক্কায় শিশু নিহত

১৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০১:১৬ অপরাহ্ন

পিরোজপুরে আগুনে পুড়লো তিনটি বসত ঘর

পিরোজপুরে আগুনে পুড়লো তিনটি বসত ঘর

১৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ০১:১৬ অপরাহ্ন