বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সকলকে সর্বশক্তি নিয়োগ করার শপথ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে এ শপথ বাক্য পাঠ করান। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় দেশের বিভাগীয় শহরগুলোসহ তৃণমূল পর্যন্ত সর্বস্তরের দেশবাসী সোশাল মিডিয়া, টেলিভিশন এবং অনলাইনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও এসময় ডায়াসে প্রধানমন্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ব্যতিক্রমধর্মী এ শপথ পাঠ অনুষ্ঠান চলাকালে অতিথি ও আয়োজকরা চরম বির্বতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন মঞ্চের পোডিয়ামে ভুল ‘মুজিববর্ষ’ বানান নিয়ে। সেখানে ‘মুজিববর্ষের’ বানানটির পরিবর্তে লেখা ছিল ‘মুজিবর্ষের’। ঐতিহাসিক এই আয়োজনে বানান ভুলের বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরে এ বিষয়ে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, প্রযুক্তিগত কারণে এই বানান বিভ্রান্তি। বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদযাপন কমিটির মিডিয়া কনসালটেন্ট আসিফ কবির বলেন, পোডিয়ামের বানান ভ্রান্তিটির প্রাথমিক খোঁজখবরে যা জানতে পেরেছি তা হলো- আমরা একটি চিপের মাধ্যমে পিসি থেকে ট্রান্সফার করে লেখাটি উৎকীর্ণ করেছি। ডিভাইস ট্রান্সফারের একপর্যায়ে একটি ‘ব’ অক্ষর অমিট হয়ে গেছে। আমরা পিসিতে চেক করে দেখেছি এটা ঠিকই আছে। অ্যাডভান্স টেকনোলজির বিষয়টি হয়ত স্যুট করেনি।
আসিফ আরো বলেন, এলইডিতে পরিস্ফুটন করে লেখাটি তোলা হয়েছে। পোডিয়ামের মনিটরেই আমরা ত্রুটিপূর্ণ বানান দেখতে পাই। এমন প্রাযুক্তিক গোলযোগের বিষয়টি দৃষ্টিতে আসার পরপরই নামাজের বিরতিতে তা সংশোধনও করা হয়।
তবে এ বানান ভুলের বিষয়টি নিয়ে মুহূর্তেই সামাজিক ও গণমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ এধরণের বড় একটি আয়োজনে এ বিষয়ে আরও সতর্ক ও সচেতন থাকা উচিত ছিল বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।