বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং ৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সম্মুখস্থ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তাঁর দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৫০ বছর আগে এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে দিনটি স্মরণে জাতি আজ ৫১তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ মানুষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম লাভ করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী-এই দুটি বৃহৎ উদযাপনের সঙ্গে মিল রেখে এ বছর বিজয় দিবস উদযাপনে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
দিবসটি উদযাপনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনা গণভবনে স্মারক ডাকটিকিটও অবমুক্ত করেন।
তিনি সেখানে বাংলাদেশের পর্যটনের ব্র্যান্ড নেম ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ লেখা একটি লোগো উন্মোচন করেন এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী দুটি মহান উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতির উদ্দেশে শপথ পাঠ করাবেন।
এছাড়া, তিনি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। (সূত্র বাসস)।