নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৩৬তম জন্ম ও ৮৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। প্রতিবছর দিনটি বেগম রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সমাজের অন্ধ গোঁড়ামি থেকে নারীকে মুক্ত করতে সংগ্রাম করেছেন তিনি। আজকের এই দিনটিতে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন।
প্রতিবছরের ধারাবাহিতায় এবারও বেগম রোকেয়া দিবসে বেগম রোকেয়া পদকের জন্য পাঁচ বিশিষ্ট নারীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন শিক্ষায় হাসিনা জাকারিয়া বেলা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অর্চনা বিশ্বাস, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শামসুন্নাহার রহমান পরান (মরণোত্তর), সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে ড. জিনাত হুদা এবং পল্লী উন্নয়নে ড. সারিয়া সুলতানা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পদক দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন
উইকিপিডিয়া সূত্রমতে, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সাধারণত বেগমরোকেয়া নামে অধিক পরিচিত। বেগম রোকেয়া হলেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং প্রথম বাঙালি নারীবাদী। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিবিসি বাংলার 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি' জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও শ্লেষাত্মক রচনায় রোকেয়ার স্টাইল ছিল স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। উদ্ভাবনা, যুক্তিবাদিতা এবং কৌতুকপ্রিয়তা তার রচনার সহজাত বৈশিষ্ট্য। তার প্রবন্ধের বিষয় ছিল ব্যাপক ও বিস্তৃত। বিজ্ঞান সম্পর্কেও তার অনুসন্ধিৎসার পরিচয় পাওয়া যায় বিভিন্ন রচনায়।
মতিচূর প্রবন্ধগ্রন্থে রোকেয়া নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানিয়েছেন এবং শিক্ষার অভাবকে নারীপশ্চাৎপদতার কারণ বলেছেন। তার সুলতানার স্বপ্ন নারীবাদী ইউটোপিয়ান সাহিত্যের ক্লাসিক নিদর্শন বলে বিবেচিত। পদ্মরাগ তার রচিত উপন্যাস। অবরোধ-বাসিনীতে তিনি অবরোধপ্রথাকে বিদ্রূপবাণে জর্জরিত করেছেন।