বাঙালির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) গণভবনে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থের সম্পাদক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, গ্রন্থটির সম্পাদনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, ড. নাসরীন আহমাদ, মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রধান গবেষক নাজমুল হোসেনসহ এবং গ্রন্থটির প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্সের আহমেদ মাহমুদুল হক।
জানা গেছে, ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ পিক্টোরিয়াল গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সময়কালের (১৯৪৯-১৯৭৫) আওয়ামী লীগের সচিত্র ইতিহাস। রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাঙালির কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং অতুলনীয় নেতৃত্বের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
গ্রন্থটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সম্মেলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম, নির্বাচনী ইশতেহারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলিল সন্নিবেশিত রয়েছে। ৫১৬ পৃষ্ঠার ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি পরিমার্জন এবং সংশোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের সারিতে প্রবেশ করেছে। মুজিব শতবর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মাথাপিছু আয়ের দেশ।’
‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থের সম্পাদক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উপহাস করে বলা হয়েছিল তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের রোল মডেল। সব সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগের কল্যাণে। কারণ আওয়ামী লীগের কান্ডারি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছি স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এ কারণে আমাদের মুক্তির মিছিলের সবসময়ের প্রকম্পিত স্লোগান নেতা মোদের শেখ মুজিব, নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা।