স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সেবা সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদনের তালিকায় আবারও প্রথম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা ওয়াসা। বার্ষিক কর্মসম্পাদনের ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৯৮ দশমিক ২৭ নম্বর অর্জন করেছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা একটায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (২০২০-২১ অর্থবছর) অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসার সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০টি দপ্তর, সংস্থা, সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও প্রমানকসমূহ মূল্যায়নে ১০০ নম্বরের বিপরীতে ঢাকা ওয়াসা ৯৮.২৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। গত অর্থ বছরে ঢাকা ওয়াসা তৃতীয় স্থান লাভ করেছিল এবং তার আগের বছর প্রথম হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ মূল্যায়ন ঢাকা ওয়াসা’র সার্বিক কাজের অগ্রগতির একটি বড় সূচক বলে উল্লেখ করেন ওয়াসা এমডি।
তাসকিম এ খান বলেন, এ ধরণের কার্যক্রম ঢাকা ওয়াসার সেবা কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হচ্ছে। এ নগরীর একটি মানুষও যেন পানি সেবার বাইরে না থাকে- এ আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পানির সমস্যা কোথাও নেই। কিছু জায়গায় কারিগরি সমস্যা বা পকেট সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধানে আমরা প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি।

ওয়াসা এমডি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন না করে নদীর পানিকে পরিশোধন করে ব্যবহার উপযোগী করতে কাজ করছে ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে ৩৪ শতাংশ পানি আসছে নদী থেকে, যা ৭০ শতাংশে নিয়ে যেতে চায় ঢাকা ওয়াসা। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৪ শতাংশ ভূ উপরস্থ পানি ও ৬৬ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানি দিচ্ছি। আমাদের দুটি প্রকল্প চলমান আছে। সেগুলো শেষ হলে ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ আমাদের যে লক্ষ্য, ৭০ ভাগ ভূ উপরস্থ পানি সরবরাহ করা। সে লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে পারব। বাকি ৩০ ভাগ ভূ গর্ভস্থ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।
তাসকিম এ খান বলেন, কোভিডের সময় যখন সব দিকে লকডাউন ছিল, তখনও কিন্তু একদিনের জন্যও ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল না।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের নেটওয়ার্ক পদ্ধতি নতুন করে সাজাচ্ছে ওয়াসা। ডিস্ট্রিক্ট মিটার এরিয়া বা ডিএমএ নামে একটি নেটওয়ার্ক পদ্ধতি শুরু করেছে ওয়াসা। সে কাজের অর্ধেক এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেন, পানির ডিস্টিবিউশন নেটওয়ার্ক আমরা হাতে নিয়েছি। এটা অনেক বড় কাজ। ঢাকার শহরের পানি সরবরাহের পুরো পদ্ধতি পরিবর্তন করে ডিএমএ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বিশ্বের অনেক দেশ এত বড় কাজ হাতে নিতে চায়নি। আমরা বেশ খানিকরা নাগরিক সমস্যা সমাধান করছি। ১৪৪ টি ডিএমএ নেটওয়ার্কে মধ্যে ৭১টি ডিএমএ প্রস্তুত করতে পেরেছি। এই নেটওয়ার্ক কম্পিউটার নেটওয়ার্কে মাধ্যমে চলবে। এর মাধ্যমে ঢাকা শহরের পানি সরবরাহের সমস্যা অনেকাংশে সহজতর হবে।