অভিবাসী প্রেরণের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। আর রেমিট্যান্স গ্রহণকারী হিসেবে দেশের অবস্থান ৮ম। এমনই তথ্য দিয়ে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ওপর বুধবার তার ফ্ল্যাগশিপ ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২২ প্রকাশ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে আইওএমের বাংলাদেশ কার্যালয়। এতে দেখা যায় দুর্যোগ, সংঘর্ষ ও সহিংসতায় অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এমন একটি সময়ে যখন কভিড-১৯ এর কারণে ভ্রমণে সীমাবদ্ধতায় বিশ্বব্যাপী গতিশীলতা স্থবির হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনটি গত দুই বছরের অভিবাসনের অগ্রগতির ওপর নজর দিয়ে ঐতিহাসিক এবং সমসাময়িক কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিশ্লেষণ প্রদানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ সালে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক অভিবাসনের পরিমাণ ছিল ৮৪ মিলিয়ন। যা ২০২০ সাল নাগাদ বেড়ে ২৮১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালে ৭.৪০ মিলিয়ন বাংলাদেশি অভিবাসী বাস করত বিদেশে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বসবাস করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
আইওএম এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি অভিবাসীর পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৪০ মিলিয়ন। দেশের বাইরে বসবাসরত এ প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি দেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ প্রবাসী শ্রমিকদের নিকট থেকে এসেছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপির ৬ শতাংশেরও বেশি এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক আয়ের উৎস।
সূত্রমতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের ঊর্ধ্বসীমা তিনগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে নগদ প্রণোদনা স্কিম-যার মাধ্যমে রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীরা অনুমোদিত সিস্টেম ব্যবহার করে স্থানান্তরের ওপর প্রতি ২.০ শতাংশ বোনাস পান। এ ছাড়া কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ উৎসাহিত করতে অতিরিক্ত এক শতাংশ ইনসেনটিভ প্রদান করছে।