বোমা আতঙ্কে ঢাকায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তল্লাশির ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই তল্লাশিতে কোন বোমা পাওয়া যায়নি।
তল্লাশি শেষ হওয়ার পর বুধবার (১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের যে ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছিল, সেটিতে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, কুয়ালালামপুর ছেড়ে আসা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ট্যাক্সিওয়েতে নিয়ে এটিতে তল্লাশি চালায় বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। আর এই অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহায়তা করে।
বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল আহসান বলেন, আমরা বিমানের প্রত্যেক আরোহী ও বিমানটিতে তল্লাশি করেছি। বোমা বা বোমা সদৃশ কিছু পাওয়া যায়নি। এটি ছিল একটি নিয়মিত ফ্লাইট। অবতরণের পর থেকেই আমরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছি। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বিমানবন্দরে সতর্ক অবস্থানে আছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, ফ্লাইটিতে একজন যাত্রীর কাছে বোমাসদৃশ কিছু রয়েছে। যাঁর কাছে এটি রয়েছে তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। কিন্তু যাত্রী তালিকায় পাকিস্তানের কোনো নাগরিক নেই। বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি সরিয়ে নিয়ে ১৩৫ যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। জরুরি অবতরণের কারণে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী, পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লাগেজ তল্লাশি করেছেন। তবে এ ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। পরে বিমানটি নিরাপদ ঘোষণা করার পর যাত্রীরা ফের উঠতে শুরু করেন।’
বিমানবন্দর থানার ওসি বি এম ফরমান আলী বলেন, বিমানবন্দরে একটি বার্তা আসে যে ফ্লাইটটিতে বোমা থাকতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা ফ্লাইটটিতে তল্লাশি চালিয়েছেন। তবে এ ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি।