অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ লকডাউন এবং সীমান্ত বন্ধ থাকার ফলে অর্থনীতিতে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, তা পুনরুদ্ধার করতে সিডনির একটি রেস্তোরাঁ দীর্ঘস্থায়ী কর্মীদের ঘাটতি মেটাতে এখন চীনের তৈরি একটি বহু-ভাষী রোবট ব্যবহার করছে ।
রোবট ওয়েটারকে টেবিল সাজানো এবং রান্নাঘর থেকে খাবার সরবরাহ করার জন্য প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এছাড়াও এটি বহুভাষিক, ইংরেজি এবং ম্যান্ডারিনে কথা বলতে পারে। চীনা প্রতিষ্ঠান পুডুটেক, বেলাবোট নামের এই রোবট তৈরি করেছে।
প্রতিটি মেশিনের দাম প্রায় ১৭ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এক একটি রোবট প্রতিদিন ৩৪ ডলার বা ২৭০০ টাকায় ভাড়া নেওয়া যেতে পারে, যা রেস্তোরাঁর কর্মীদের জন্য দুই ঘণ্টার মজুরির সমপরিমাণ। এই রোবটগুলো অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করা হচ্ছে এবং চীন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আমদানি করা হয়েছে, তবে এ দুটি দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক যে বাণিজ্য উত্তেজনা, তা এই বিষয়টিকে প্রভাবিত করেনি বলে মনে হচ্ছে।
সিডনির ম্যাটারহর্ন রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক লিয়ার্ন শাই তার নতুন যান্ত্রিক কর্মী সদস্যকে নিয়ে আনন্দিত৷
শাই বলেন, “আহ, রোবটকে ভালবাসুন। রোবটকে ভালবাসুন, সে আমার জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। এটি একটি টাওয়ারের মতো যার চারটি ট্রে আছে। এটি আটটি খাবারের প্লেট এক সাথে বহন করে। তার জন্য মেঝেতে জিও-ম্যাপ করা হয়েছে (গ্রাহকের নাম, টেবিলের অবস্থান, ইত্যাদি) রোবট জানে আমাদের টেবিলগুলো কোনটা কোথায় আছে”।
ঐতিহ্যগতভাবে অস্ট্রেলিয়ার আতিথেয়তার কর্মশক্তি আন্তর্জাতিক ছাত্রদের উপর নির্ভর করে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করার প্রয়াসে ২০২০ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়া বেশিরভাগ বিদেশী নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, তখন তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
শ্রমিকের ঘাটতি শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার রেস্তোরা শিল্পেই নয়, নির্মাণ থেকে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তি পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্পকে প্রভাবিত করছে। (সূত্র:ভিওএ)।