কাঁচা মরিচের গুঁড়ো ও রোদে শুকানো পেঁয়াজের কুচি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খরচ কমাতে এটি একটি ভাল পন্থা বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা উদ্বোধন শেষে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিবসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাঁচা মরিচের গুঁড়ো ও রোদে শুকানো পেঁয়াজের কুচির দুটি প্যাকেট উপহার দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দুপুরে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ভাবুন তো, রান্নার সময় তরকারিতে দিচ্ছেন কাঁচা মরিচের গুঁড়ো কিংবা শুকনো পেঁয়াজের কুচি একটু ভিজিয়ে রান্নায় ব্যবহার করছেন প্রয়োজনমত! পচনশীল এই দুটি সবজি সময়মত সংরক্ষণ করে এভাবেও ব্যবহার করা সম্ভব! পথ দেখালেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Unibots.in
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্ষাকালে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। তখন আগে থেকে সংরক্ষণ করে রাখা কাঁচা মরিচের গুঁড়ো ও শুকানো পেঁয়াজ কাজে লাগবে। খরচ হবে না বাড়তি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এমন হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন বাড়ির গৃহিনীরা।
প্রতিমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লেখেন, কাঁচা পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না, কাঁচা মরিচও তাই। কিন্তু এগুলোকে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে তা অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা একইভাবে টমেটো সংরক্ষণেরও পরামর্শ দেন।
তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, যখন বেশি ফলন হয় তখন টমেটো ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে পরে ব্যবহারের জন্য রেখে দেয়া যায়। আধুনিক মেশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করে এগুলো মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি। প্রতিদিনই তাঁর ভাবনা ও জীবনাচার থেকে শিখছে বাংলাদেশের মানুষ। তিনি পতিত জমিতে ফসল ফলানোর কথা বলেছেন, বলছেন ছাদে বা বারান্দায় একটি কাঁচা মরিচ গাছ হলেও তা লাগানোর কথা। যা বলেছেন, তা তিনি করেও দেখিয়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা সর্বক্ষেত্রেই। জয়তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এর আগে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি তৈরি, মাংসের পরিবর্তে কাঁঠাল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, উন্নত বিশ্বে এখন মাংস খেতে চায় না। তারা মাংসের পরিবর্তে কাঁঠালের তৈরি কাবাব, বার্গার, রোল ইত্যাদি খাচ্ছে। কাঁঠালের তৈরি এসব খাবারের দামও কিন্তু অনেক বেশি। এসব খাবারের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। আমাদের দেশের উচ্চ বিত্তরা বার্গার, রোল জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন।