শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • বিধি লঙ্ঘন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

    সিদ্ধিরগঞ্জে তিন ওয়ার্ডে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ১২ জানুয়ারী, ২০২২ ১০:৪০ অপরাহ্ন

    সিদ্ধিরগঞ্জে তিন ওয়ার্ডে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
    কাজী অফিস

    নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার তিনটি ওয়ার্ডে নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার (কাজী) শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রমে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা রেজিস্ট্রার এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।


    অভিযোগ মতে, নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য বিধি অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় দিয়ে দৃষ্টিগোচর স্থানে তথা স্থানীয় এমপি, ডিসি অফিস, জেলা রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য সদস্যদের কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মো. জিয়াউল হক এসব বিধির কোন তোয়াক্কা না করে শেষ দিনে গোপনে পাঁচ, সাত ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে কাজী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।


    সূত্রমতে, গত ২৩ ডিসেম্বর কাজীয় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি দিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার জিয়াউল হক নিজের ড্রয়ারে রেখে দেন। আবেদনের শেষ দিন ৬ জানুয়ারি তিনি বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছেন, যাতে তার বলয়ের বাইরের কেউ আবেদন করতে না পারেন। যাদের কাছ থেকে তিনি উৎকোচ নিয়েছেন তাদেরকেই নিয়োগের জন্য তিনি আবেদনের সুযোগ দিয়েছেন। আগ্রহী অন্যরা এতে আবেদনের সুযোগ পাননি।


    আবেদন করতে ইচ্ছুক ফারুক নামে একজন অভিযোগ জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটির পাঁচ, সাত ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।


    গত ২৩-১২-২০২১ ইং তারিখে ১০৩৪(৮) নম্বর-স্বারকে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা রেজিস্ট্রার মো: জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পনেরো দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
    নিয়োম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে তা নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে রাখার বাধ্যকতা রয়েছে। কিন্তু আমিসহ অনেকই বিজ্ঞপ্তিটি জেলা অফিসের নোটিশ বোর্ডে দেখতে পাইনি।
    পরে চলতি মাসের ছয় তারিখ বিজ্ঞপ্তিটি নোটিশ বোর্ডে ঝুলানো দেখতে পাই। যা নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগে। ফলে আমিসহ আরো অনেকই আবেদন করতে পারিনি।
    সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বরাবর একই তারিখে বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা থাকলেও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
    বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিকের নয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান বলেন, এধরণের কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি আমি পাইনি।  
    নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (এন.ডি.সি) সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ট্রেজারী শাখা মেহেদী হাসান ফারুক জানান, অদ্যবধি পর্যন্ত এধরণের কোন বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি কোন অনুলিপি পাইনি।


    সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নিকাহ ও  তালাক রেজিস্ট্রারের পদটি এখন লোভনীয় একটি পদ। এজন্যই অনেকেই এই পদে নিয়োগ পেতে টাকা লেন করেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার জিয়াউল হক পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই বিজ্ঞপ্তি যথানিয়মে প্রকাশ করেননি। তিনটি ওয়ার্ডে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে অন্তত ৬০ লাখ টাকার বাণিজ্য হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা।


    জানা গেছে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার ইউনিয়নের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তবে পরে তা সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়ায় নিয়মানুযায়ী এক ওয়ার্ডে একজন রেজিস্ট্রার থাকা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার তার সীমানা ঠিক করতে মামলা করেন।


    এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রেজিস্ট্রার মো. জিয়াউল হক বলেন, ৬, ৭ ও  ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একজন রেজিস্ট্রার ছিলেন। সিটি করপোরেশন হওয়ার হওয়ার পর নিয়মানুযায়ী প্রতি ওয়ার্ডে একজন রেজিস্ট্রার থাকার কথা। মন্ত্রণালয়ের অর্ডার অনুযায়ী নিয়োগের জন্য তাকে যে কোন একটি রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললে তিনি আদালতে মামলা করেন। এজন্য সেখানে আর নিয়োগ দেওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতে চান এবং বাকিগুলোতে নিয়োগ দিলে আপত্তি নেই মর্মে লিখিতভাবে জানান। মামলা তুলে নেওয়ার কথাও তিনি জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে। তাই এখন মামলা আছে-একথাটা সঠিক না।
    বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার বলেন, বিধি অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় এমপি মহোদয় এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ চার জায়গায় বিজ্ঞপ্তি টানানোর নিয়ম আছে, সে অনুযায়ী চার জায়গায়ই সময়মতো টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওইসব অফিসে নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার অফিসেও এটা যথানিয়মে টানানো হয়েছে। এখন কেউ তা না দেখলে কিছুই করার নেই।


    পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে কমিটি আছে। আমি ইচ্ছা করলেই কাউকে নিয়োগ দিতে পারব না। কমিটিই প্যানেল তৈরি করবে। সেখান থেকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। যথেষ্ঠ আবেদন পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


    এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, জেলা রেজিস্ট্রারের অপকর্মের মূল হোতা আবু রায়হান নামের একজন কম্পিউটার অপারেটর। জেলা রেজিস্ট্রারের ঘুষ-দুর্নীতি সবই তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন।


    নিয়োগবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে আবু রায়হান সাংবাদিকদের বলেন, বিজ্ঞপ্তিটি সব জায়গায় পৌঁছানো হয়েছে। আমাদের কাছে রিসিভ কপি আছে।
    তবে ভুক্তভোগিরা জানান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তিন মাস আগেই মারা গেছে। এখনও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাছাড়া বর্তমানে নির্বাচন চলছে। এখন কে বা কারা রিসিভ করেছে-এ বিষয়ে কোন ডকুমেন্টও জেলা রেজিস্ট্রার অফিস দেখাতে পারবেন না। বাস্তবে রেজিস্ট্রার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি কোথাও পৌঁছানো হয়নি।
    এদিকে ডিসি অফিস এবং এমপির দপ্তরে যোগাযোগ করেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কপি পৌঁছানোর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

     




    সাতদিনের সেরা খবর

    জাতীয় - এর আরো খবর

    তিন মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্বে রদবদল

    তিন মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্বে রদবদল

    ১২ জানুয়ারী, ২০২২ ১০:৪০ অপরাহ্ন

    অবশেষে সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

    অবশেষে সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

    ১২ জানুয়ারী, ২০২২ ১০:৪০ অপরাহ্ন