চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫৭ লাখ টাকা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে সমাজসেবা অধিদপ্তরের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, সোমবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন উপ-পরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. গোলাম ফারুক ও উচ্চমান সহকারী মাহমুদুল হাসান সেলিম।
সৈয়দ মেহেদী হাসান নামের এক চাকরিপ্রার্থী গত ২২ ডিসেম্বর গোলাম ফারুক ও মাহমুদুল হাসান সেলিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানায় অভিযোগ করেন। সেখানে চাকরির কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। পরে অভিযোগটি দুদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয় সমাজসেবা অধিদপ্তর। পরে একই বছর আরেক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরে সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) পদে নিয়োগ পরীক্ষা হবে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর আসামিরা চাকরি দেওয়ার কথা বলে মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থী ও তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা ‘ঘুষ নেন’। পরে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষা স্থগিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিদের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা, সমাজকর্মী ইউনিয়ন পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বর, রোল, জেলার নাম ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম সম্বলিত ৫৯ পাতা কাগজসহ বিভিন্ন নথিপত্র আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগ-বদলি বানিজ্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে।