শিরোনাম
  • পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: কাদের বৃত্তি পেল সেরা ১৫ জন স্কুল ক্রিকেটার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে সবার চাওয়া সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন উপজেলা নির্বাচন: ইসি আহসান হাবিব  তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে :  কাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী  বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও ব্যাংককের পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর
  • কোটি টাকার হরিণ বিক্রি ঢাকা চিড়িয়াখার

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ৭ জানুয়ারী, ২০২২ ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

     কোটি টাকার হরিণ বিক্রি ঢাকা চিড়িয়াখার

    জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ থাকে হরিণ। বিশেষ করে শিশুদের কাছে হরিণ খুবই পছন্দের একটি প্রাণী। বাংলাদেশে পাঁচ প্রজাতির হরিণ আছে। এর মধ্যে মায়াবী চোখের কারণে চিত্রা হরিণ সবার মন কাড়ে।

    জাতীয় চিড়িয়াখানায় হরিণ এখন শুধু দর্শনীয় প্রাণীই নয়, এটি বিক্রি করে অনেক আয়ও করছে কর্তৃপক্ষ। সূত্রমতে, বিভিন্ন এলাকার খামারি ও শৌখিন হরিণ পালকদের কাছে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা গত বছর ১৯৮টি চিত্রা হরিণ বিক্রি করেছে। এ থেকে চিড়িয়াখানা এক কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। এই চিড়িয়াখানায় এখন প্রায় ৪০০ হরিণ আছে। এ থেকে আরো শতাধিক হরিণ তারা বিক্রি করবে বলে জানা গেছে।

    এক যুগ আগেও পার্ক কিংবা চিড়িয়াখানা ছাড়া শৌখিন ও খামার পর্যায়ে হরিণ পালনের কথা তেমন শোনা যায়নি। কিন্তু সরকারের বিধিমালা মেনে এখন অনেকে হরিণ পুষছেন। রাজধানীসহ অন্তত দেশের ২৫ জেলায় এখন খামারে এবং শখ করে হরিণ পালন করা হচ্ছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জে হরিণ পালনের প্রবণতা বেশি।

    আইন অনুযায়ী, ১০টির বেশি হরিণ পালন করলে তা খামার হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তবে যে পর্যায়েই লালন-পালন করা হোক না কেন, হরিণের মাংস খাওয়া এখনো বৈধ নয়।


    জানা গেছে, ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক জোড়া হরিণ প্রথমে এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। এখন জোড়া এক লাখ টাকায় বিক্রি করছে। গত বছর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কোটি টাকার ওপরে হরিণ বিক্রি করেছে।

    জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, অনুকূল পরিবেশ, যত্ন আর ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে চিড়িয়াখানায় ধারণক্ষমতার চেয়ে হরিণ বেশি হয়ে গেছে। তাই সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে আহগ্রীদের কাছে কিছু হরিণ বিক্রি করা হয়েছে।

    আব্দুল লতিফ বলেন, যেহেতু চিড়িয়াখানা একটি প্রদর্শনীকেন্দ্র, কোনো খামার নয়, তাই হরিণ শুধু প্রজনন করলে তো হবে না। তাদের খাবার লাগবে, রাখার জায়গা লাগবে, যত্ন লাগবে। এর জন্য নির্দিষ্ট একটা বাজেট থাকে। এখন চিড়িয়াখানায় ধারণক্ষমতার বেশি হরিণ আছে। তাই দেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে প্রাণী বিনিময় করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া রিসোর্ট মালিক, শিল্পপতি, খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে পালনের জন্যও হরিণ বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষ যেমন গৃহপালিত প্রাণী লালন-পালন করছে, তেমনি সামনে হরিণও পালন করা হবে। সেভাবেই সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে।

     

     




    স্পেশাল রিপোর্ট - এর আরো খবর

    দুই মেয়েকে নিয়ে এক মায়ের সংগ্রাম

    দুই মেয়েকে নিয়ে এক মায়ের সংগ্রাম

    ৭ জানুয়ারী, ২০২২ ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

    মেট্রোরেল বদলে দিয়েছে ঢাকাবাসীর জীবনচিত্র

    মেট্রোরেল বদলে দিয়েছে ঢাকাবাসীর জীবনচিত্র

    ৭ জানুয়ারী, ২০২২ ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন