এবার রাজধানীর বাইরে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। তবে এ বাণিজ্যমেলায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতাদর্শনার্থীরা।
সূত্রমতে, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণের দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার। এ পথে বেশকিছু রাস্তার উন্নয়নকাজ করা হয়েছে। তবে নির্মাণাধীন পাঁচটি আন্ডারপাস এলাকার রাস্তা এখনো ভাঙা। এছাড়া রাস্তার পাশেই চলছে ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্প। সব মিলিয়ে নতুন স্থানে শুরু হওয়া বাণিজ্যমেলায় পৌঁছাতে বেশ ভোগান্তিতে পড়ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। আধ ঘণ্টার পথে সময় যাচ্ছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাণিজ্যমেলার পথে যেসব এলাকায় আন্ডারপাসের কাজ চলছে সেখানে একটি মাত্র লেন চালু রাখা হয়েছে। ফলে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আন্ডারপাসের আগে ও পরের অংশে বেশকিছুটা পথ এখনো ভাঙা। অন্যদিকে ওই পথে এখন প্রচণ্ড ধুলা। কিছুটা বাতাসে পাশে চলমান খাল খননকাজের ধুলাবালিও উড়ছে। এছাড়া রাস্তায় চলছে মাটি ও নির্মাণসামগ্রী বহনকারী গাড়ি। এসব গাড়ি ভোগান্তিতে আরও বাড়তি মাত্রা যোগ করছে। আবার কোথাও রাস্তার কিছু অংশ বন্ধ করে কাজ করা হচ্ছে। ফলে সেসব জায়গায় গাড়ির চাপ তৈরি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরই তৈরি হচ্ছে যানজট।
মোটরসাইকেল নিয়ে রামপুরা থেকে মেলা প্রাঙ্গণে এসেছেন সুমন হোসেন। তিনি বলেন, একেতো রাস্তা ভাঙা, তার ওপর প্রচণ্ড ধুলা। শরীরে ধুলার স্তর জমে গেছে। সময় লেগেছে তিনগুণ।
তিনি বলেন, রাস্তার কাজ না হলে কুড়িল থেকে আধঘণ্টায় আসা যেত। সেখানে দেড় ঘণ্টা লাগলো। মাঝে কিছু জায়গা বন্ধ করে কাজ হচ্ছে। গাড়ি ঘুরিয়ে একপথে আসা-যাওয়ার কারণে জ্যাম হচ্ছে।
মিরপুরের দর্শনাথী ফরিদা ইসলাম বলেন, এতো দূরে জানলে আসতাম না। বিআরটিসির গাড়িতে এসেছি। তিন ঘণ্টা লেগেছে, খুব কষ্ট।
এদিকে কাঞ্চন ব্রিজ থেকে মেলা প্রাঙ্গণের রাস্তাটিও প্রসারিত নয়। ফলে সেখানে ইজিবাইক ও ভ্যান-রিকশার যানজট তৈরি হচ্ছে। আবার মেলা থেকে ফেরার পথে কাঞ্চন ব্রিজের নিচের রাস্তায় ইউটার্নের কারণে দীর্ঘ যানজট হচ্ছে।
সূত্রমতে, এবার প্রথম মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৩০টি বিআরটিসি বাস চালু করা হয়েছে। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মাসব্যাপী সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যাতায়াত করবে বাসগুলো। এসব বাসে ন্যুনতম ৩০ টাকা ভাড়ায় দর্শনার্থীরা যাতায়াত করতে পারবেন। বাস থেকে যাত্রীদের নামতে হবে কাঞ্চন ব্রীজ। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে হবে। এছাড়া মতিঝিল, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর থেকে বিআরটিসি বাস মেলার এলাকা পর্যন্ত চলাচল করছে।
আয়োজকরা জানান, এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও সামনের ফাঁকা জায়গা মিলে স্টল রয়েছে। এতে করে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোড, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টলসহ ৩২টি ক্যাটাগরি রয়েছে। মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে। একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারবেন।