বিভিন্ন মিডিয়ায চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সম্পত্তি ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মা-বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্তানদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের তিনদিনের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে তার ছোট মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে ঠাঁই মিলল। শুক্রবার রাতে কানসাট পুখুরিয়া এলাাকায় কাজিপাড়া গ্রামে দাহারুলের বন্ধুর ভাড়া করা বাড়িতে গিয়ে তার সন্তানদেও ডেকে আলাপআলোচনার পর অবশেষে তার ছোট মেয়ে ও মনাকষা ইউনিয়নের রাজনগর হাঙ্গামী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকখাদিজার বাড়িতে যাবার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় তার ছেলে ও সোনামসজিদ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক এমরান অঅরি তাদেও নিয়ে যেতে চাইলেও তারা সেখানে যেতে রাজী হননি।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্যুল হায়াত বলেন, তাদের ছেলেমেয়েদের ডেকে বুঝানো হলে তার সবাই অনুতপ্ত হন এবং তাদের পিতামাতাকে নিয়ে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা ছেলেদেও বাড়িতে যেতে রাজী না হওয়ায় তার সেজো মেয়ে ও স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার চার ছেলে মেয়ের নিকট হতে প্রায় সাড়ে ২১লাখ টাকা নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা রাখা হবে।
তিনি আরো বলেন, তাদের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে এটি ঘটেছে।ইসলামের বাড়িতে গিয়ে অসহায় উল্লেখ্য যে গত বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক ইত্তেফাক ওদৈনিক সোনার দেশ পত্রিকায় অনলাইনে সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুর হায়াত রাত ১১টার দিকে বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার ভাড়া করা বাড়িতে গিযে দেখা করেন এবং ফলমুল, শুকনা খাবার ও নগদ টাকা দিয়ে আসেন এবং থাকার ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় তার সাথে উপ তার সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন অফিসার আরিপুল ইসলাম ও সমাজ সেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস। তার পরের দিন শুক্রবার রাতে তার ছেলেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথে যোগাযোগ করে পিতামাতাকে নিয়ে যেতে চাইলে তারা ছেলেদের বাড়িতে যেতে রাজী না হওয়ায় সেজো মেয়ে স্কুল শিক্ষক খাদিজার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে এব্যাপারে দাহারুল ইসলাম (৯০) ও শেরিনা বেগম (৮৫)।
মিডিয়ার সাথে সাক্ষাতকালে বলেন, ছেলে-মেয়েরা আমাদের ভরণপোষণ ও দেখাশুনা না করে বসতবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এখন অসহায় জীবন-যাপন করছি। কোন আয় করতে পারিনা।
বর্তমানে বন্ধুর বাড়িতে বসবাস করছি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে অসহায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা বলেন, সাত ছেলে-মেয়ে সবাই প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে রায়নুল হক ব্রাকে চাকরি করে। মেজো ছেলে বাগির আলম ভারতের বাসিন্দা। সেজো ছেলে এমরান আলী শাহাবাজপুর সোনামসজিদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। ছোট ছেলে সাইদুর রহমান ব্যবসায়ী। মেয়েদের মধ্যে মেজো মেয়ে স্কুল শিক্ষক।
তারপরও আমাদের দুজনের ১৩ বিঘা জমি ও ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সন্তানরা। জমি ও
টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কেউ আশ্রয় না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তবুও আমাদের
জন্য জুটেনি ভাত। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিও তাদের কাছে আছে। তবে বড় ছেলে রায়নুল
হক বলেন, তারাই আমার বাবা-মা। কিন্তু আপনার যা জানার আছে আমার অন্য ভাইয়ের কাছে
জেনে নেন। সেজো ছেলে শাহাবাজপুর সোনামসজিদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এমরান আলীর
মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তার স্ত্রী জানান, এ বিষয়ে মোবাইলে কথা বলা সম্ভব নয়।