বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদাম। এ খাদ্যগুদামে নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল পাল্টে কাজে জড়িত আছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই। তাঁদের যোগসাজশে রয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
নিয়ম অনুযায়ী কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার কথা রয়েছে। এরপর চুক্তিবদ্ধ মিলারদের মাধ্যমে চাল বানিয়ে সংগ্রহ করার কথা। তবে অভিযোগ আছে, কর্মকর্তাদের এতো কাজের সময় কোথায়!
সহজ হিসাব হল-ধান না কিনেই সরাসরি নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করা। এতে লাভ বিপুল অর্থ। এভাবে দিনের পর দিন অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, এবার বোরো মৌসুমে ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকায় ২ হাজার ৭২৩ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়। ধান থেকে চালের জন্য আটটি চালকলের সঙ্গে চুক্তি হয়। এ আটটি চালকল থেকে ১ হাজার ২১১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়।
তবে ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামে চালবাজি করা সময় ধরা খেয়েছে। ধরা পড়ার পর জেলার সব খাদ্যগুদামে তদন্ত করার জন্য আটটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।