শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • শিবগঞ্জে অসহায় বাবা-মায়ের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলেন ইউএনও

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

    ৬ মে, ২০২৩ ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

    শিবগঞ্জে অসহায় বাবা-মায়ের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলেন ইউএনও

    বিভিন্ন মিডিয়ায চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সম্পত্তি ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মা-বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্তানদের বিরুদ্ধে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কানসাট-পুখুরিয়া এলাকায় আমিনুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে অসহায় দম্পতির খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

     

    এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফলমুল,চাল ডাল,তেল সহ শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং দেখাশুনার দায়িত্ব নেন। তবে এসময তিনি বলেন যদি তার সন্তানদেও ভুল ভাঙ্গে এবং তাদেরকে নিয়ে গিয়ে সেবা দেন। 

     

    এব্যাপারে দাহারুল ইসলামের বড় ছেলে রায়নুর ইসলাম বলেন এটি আমাদে ছোট ভাই সাইদুর রহমানে দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে আমার পিতামাতা আবেগ তাড়িত হয়ে এটি করেছেন। 

     

    অন্যদিকে সেজো ছেলে সহকারী অধ্যাপক এমরান আলি বলেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত ছাড়া আমার পিতামাতা সেখান থেকে আসবেন না বলে জানিয়েছে। সেহেতু আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াতের 

    সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে নিজ দায়িত্বে আমি আমার পিতামাতাকে নিয়ে আসবো এবং যতদিন উনারা বাঁচবে ততদিন আমার সেবাযত্নের মাধ্যমে থাকবে। 

    তিনি আরো বলেন, আমার পিতামাতা তাদের সমস্ত সম্পত্তি ও টাকা ছোট ছেলে সাইদুর রহমানকে দেয়ার পরও তার ও তার স্ত্রীর দুব্যবহারের কারণে আবেগের বশবর্তী হয়ে এটি করেছেন। যা আমাদেরকে সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। 

     

    বুধবার উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কামাটোলা বাবুপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের বের করে দেন সন্তানরা। নিরুপায় হয়ে কানসাট-পুখুরিয়া এলাকায় বাল্যকালের বন্ধু আমিনুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন দাহারুল ইসলাম (৯০) ও শেরিনা বেগম (৮৫)। 

    মিডিয়ার সাথে সাক্ষাতকালে বৃদ্ধ দাহারুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়েরা আমাদের ভরণপোষণ ও 

    দেখাশুনা না করে বসতবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এখন অসহায় জীবন-যাপন করছি। কোন 

    আয় করতে পারিনা। বর্তমানে বন্ধুর বাড়িতে বসবাস করছি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে অসহায় বৃদ্ধ ও 

    বৃদ্ধা বলেন, সাত ছেলে-মেয়ে সবাই প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে রায়নুল হক ব্রাকে চাকরি করে। মেজো ছেলে বাগির আলম ভারতের বাসিন্দা। সেজো ছেলে এমরান আলী শাহাবাজপুর সোনামসজিদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। ছোট ছেলে সাইদুর রহমান ব্যবসায়ী। মেয়েদের মধ্যে মেজো মেয়ে স্কুল শিক্ষক। তারপরও আমাদের দুজনের ১৩ বিঘা জমি ও ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সন্তানরা। জমি ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কেউ আশ্রয় না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তবুও আমাদের জন্য জুটেনি ভাত। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিও তাদের কাছে আছে। তবে বড় ছেলে রায়নুল হক বলেন, তারাই আমার বাবা-মা। কিন্তু আপনার যা জানার আছে আমার অন্য ভাইয়ের কাছে জেনে নেন। সেজো ছেলে শাহাবাজপুর সোনামসজিদ ডিগ্রি 

    কলেজের শিক্ষক এমরান আলীর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তার স্ত্রী জানান, এ বিষয়ে মোবাইলে কথা বলা সম্ভব নয়।




    সাতদিনের সেরা খবর

    সারাদেশ - এর আরো খবর