চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলার সাবেক যুবলীগ লীগ নেতা খাইরুল আলম জেম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। শনিবার(২২ এপ্রিল) খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ ৪৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেরাজ আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমান, সংসদ সদস্য পদে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক ওরফে লিটন, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাহুল হক ওরফে টুটুলসহ মোট ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ওই মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ৪৮ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এর আগে ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেকৃ নেতা খাইরুল আলম জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যার সঠিক বিচার দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেন স্বজনরা।
নিহত ব্যাক্তি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসান এডু মাস্টারের ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।