ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে সবাইকে একদিন পরকালীন জীবনে পদার্পন করতে হবে এটাই চিরন্তন ও চরম বাস্তবতা। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান নান্নু গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌণে ৮ টায় স্ট্রোক ও শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু বরন করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তিনি বিগত বেশ কিছু দিন যাবত শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন, মঙ্গলবার বিকালে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার সাথে স্ট্রোক করলে দ্রুত তাকে লাঙ্গলবাঁধ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎকরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন, কিন্তু সন্ধ্যার পরে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে, এক পর্যায়ে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ঃ৪৫ টার দিকে তিনি মৃত্যু বরন করেন।
বুধবার বাদ যোহর বন্দেখালি ঈদগাহ ময়দানে তার জানাযা সম্পন্ন হয়। জানাযায় অগনিত মানুষকে উদ্দেশ্য করে ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বর্তমান ও ৪ বারের সফল চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বলেন, মৃত্যু আমাদের সবার জন্য অবধারিত। তিনি বলেন, নান্নু ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সহসভাপতি ছিলেন। নান্নু আমার অনেক কাছের একজন মানুষ ছিলেন। আমাদের সবাইকে অনেক সম্মান করত, তার পরিবারের সাথে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, তার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম কিছু দিন আগে মৃত্যু বরন করেছেন, আজ নান্নু ও আমাদের সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেল । তাই তিনি সবাইকে মান অভিমান ভুলে নান্নুকে ক্ষমা করে দেওয়ায় কথা বলেন এবং সবাইকে নান্নুর মাগফিরাতের জন্য দোয়া কামনা করতে বলেন। তিনি তার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান মৃত নজরুল ইসলামের মতোই একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন।
এদিকে তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দৈনিক জাগো কন্ঠের শৈলকুপা প্রতিনিধি এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারেন তিনি আওয়ামিলীগের একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার দাফন কার্য শেষ করার পরে আখেরি মোনাজাত করা হয়, আখেরি মোনাজাতে এলাকার প্রিয় এই রাজনৈতিক অবিভাবকের জন্য দোয়া কামনা ও তাকে যেন আল্লাহ খমা করেন ও জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন, সাথে মানুষের কল্যাণ ও সমস্ত কবরবাসির মাগফিরাত কামনা করা হয়।