ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত "ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে সম্প্রীতি বিনষ্ট করা অনেক সহজ। তাই সকলকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গুজবের ফঁাদে পা দেয়া যাবেনা।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাস্ট্র। জাতির পিতা বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূলনীতি সন্নিবেশিত করে গেছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোন অশুভ শক্তি যেন রাজনৈতিক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করতে না পারে এবং দেশের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে না পারে এ বিষয়ে সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান হত্তে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে মসজিদের খতিব ও ইমামগণ জুমার বয়ানে নিয়মিত ভাবে তুলে ধরতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র কুরআন ও মহানবী (সা.) এর জীবনী তথা মদিনা সনদ, মক্কা বিজয়ের ঘটনা এবং বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থার কথা জানতে পারি। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সমাজ রক্ষায় আমাদেরকে মহানবীর জীবন থেকে
শিক্ষা নিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া মোহাম্মদ সাঈদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন "ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ করণ" শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল শাহীন, কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, বিজ্ঞ পিপি কুষ্টিয়া অনুপ কুমার নন্দী, বিশিষ্ট ইসলামি আলোচক ড. আব্দুল মোমেন সিরাজী
প্রমুখ।
সংলাপে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ,
মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করে কুষ্টিয়া জেলা সহ সারা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও সুসংহত করতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।