শিবগঞ্জে নিখোঁজের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ যুবক কে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। নিখেঁজের আত্মীয়দের অভিযোগ পুলিশ কোন তৎপরতা দেখান না। তবে পুুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিখোঁজ যুবক -শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের মো.লুটুর ছেলে মো.আসাদুল্লাহ (২১)। এনিয়ে হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের ২৭ জুন একই গ্রামে। এনিয়ে নিখোঁজ আসাদুল্লাহর পিতা মো.লুটু আলী একই বছরের ৩০ জুন প্রথমে শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি ১৫৩৩) করেন। পরবর্তীতে কোন খোঁজ না পেয়ে ১০জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৫/৭জনকে আসামী করে একটি এজাহার জমা দেন। এর পর প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেনি পুলিশ। এমনকি ওই যুবককে উদ্ধারে কোন উদ্যোগ নেইনি এমনটাই দাবি করেছেন আসাদুল্লাহর পিতা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়-২৭ জুন সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে মাসুম নামে স্থানীয় এক যুবক ক্রিকেট খেলার নাম করে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে মো.আসাদুল্লাহ। ঘটনাটি স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি তাঁর পরিবারকে জানায়। ধারনা করা হচ্ছে,আসামীরা যোগসাজস করে আসাদুল্লাহকে গুম-খুন বা অসৎ উদ্দেশ্যে আটকিয়ে রেখেছে।নিখোঁজ যুবকের পিতা মো.লুটু আলী অভিযোগ করে বলেন,ছেলে নিখোঁজের পর থানা পুলিশ জিডি নিলেও অপহরণকারিদের সনাক্তের পর এজাহার জমা দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এমনকি আমার ছেলেকে উদ্ধারে পুলিশ কোন উদ্যোগ নেইনি।
অভিযোগ রয়েছে-আসামীরা পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছেলেকে উদ্ধারে তিনি প্রশাসনের ঊর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল গনির মুঠোফোনে একাধীকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরি জোবায়ের আহমেদ জানান,অপহরণের অভিযোগে থানায় এজাহার নিয়ে আসেনি কেও। জিডির সূত্র ধরে নিখোঁজ যুবক কে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।