শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • শিবগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলার ৫০ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি

    চাঁপাইিনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

    ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

    শিবগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলার ৫০ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি

    শিবগঞ্জে জান্নাতি বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় ৫০ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামিরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তাসহ নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঘটনার আদ্যোপান্ত সব জেনেও পুলিশ তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করছে এবং আসামিদের  গ্রেপ্তার করছেনা দাবি মামলার বাদি ও নিহত পরিবারের। নিহত গৃহবধূ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের পিয়ালীমারী গ্রামের জেমের স্ত্রী ও মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নাজির হোসেনের মেয়ে। অসহায় পরিবার মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ডাক বাংলো চত্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়ে দাবী করে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের তদবীর করছে।নিহত জান্নাতির মা নিরক্ষর হওয়ায় মায়ের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতির খালা মোসলেমা অভিযোগ করে বলেন,লাশ উদ্ধারের দিন পুলিশ তার বোনের নিরক্ষরতার সুযোগ নিয়ে একটি কাগজে টিপ সই নিয়ে মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পথ রুদ্ধ করে দেয়নিহতের মা সুরেফা বেগমের অভিযোগ- উপজেলার চর ভবানীপুর গ্রামের আলমের ছেলে আলামিন তাকে কৌশলে আমবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ফাঁসি দেয়ার মত করে ঝুলিয়ে রাখে।

    তিনি বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটতে পারে সন্দেহ। মেয়ে হত্যার বিষয়টি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ যেন দ্রæত আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এলাকাবাসী জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে জান্নাতি বেগম তার পিতার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় এবং রাত ১১টার দিকে নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হয়। পরদিন সকালে গোপালপুর কবরস্থানের পূর্বে আমবাগানের একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের চাচা অকিল হোসেন জানান, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত বখাটে। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

    এর আগে শিংনগর গ্রামে এক মেয়েকে উত্যক্তের জেরে ৫ নম্বর আসামি রহিমকে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। এছাড়া গত সপ্তাহে একই এলাকায় আরেক মেয়েকে উত্যক্তের জেরে ২ নম্বর আসামি গোলাবকেও আটক করেছিল এলাকাবাসী। মামলার সাক্ষী ও জান্নাতির চাচাতো ভাই আহসান হাবিব বলেন, ঘটনার দিন (১ অক্টোবর) রাত ১২টা ৩৮ মিনিটের দিকে জান্নাতি মুঠোফোনে আমাকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার করার কথা বললেও আর কথা বলা সম্ভব হয়নি। হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে জান্নাতি ফোনে আমাকে জানায় আমাকে বাঁচাও, ওরা আমাকে ধর্ষণ করেছে এখন মেরে ফেলার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে জান্নাতি তার পিতার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় এবং রাত ১১টার দিকে নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হয়। পরদিন সকালে গোপালপুর কবরস্থানের পূর্বে আমবাগানের একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    নিহতের বাবা নাজির হোসেন জানান, আলামিন ও তার সহযোগি আসামিরা মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার প্ররোচনা চালায়। অবিলম্বে আসামিদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। মামলার বাদি ও নিহতের মা সুরেফা বেগম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় প্রথমে মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। গত ২ নভেম্বর আলামিনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে মামলার আবেদন করলে শিবগঞ্জ থানার ওসিকে মামলাটি রেকর্ডের নির্দেশ দেন আদালত। ৯ নভেম্বর শিবগঞ্জ থানার ওসি মামলাটি (মামলা নম্বর ২২) রেকর্ড করেন। তবে মামলার ৫০দিন পেরিয়ে গেলেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে আসামিরা এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। দ্রæত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলামিন ও তার পিতা আলমের  ব্যবহৃত ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।পরে তাদের বাড়ি গিয়ে তাদেও পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ সঠিক নয়।তবে আসামীদের হয়রানী না করার জন্য ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রির্পোটে আসামীরা অভিযক্ত হলেই তাদের গ্রেফতার ও চার্জশীট দেয়া হবে। ৫০ দিনেও ময়না তদন্ত রিপোর্ট কেন পাওয়া যাচ্ছেনা এবং কেন মামলা নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মেডিকেলের ব্যাপার। আর একই ঘটনায় একটি মামলা থাকলে আর একটি নেয়া যায়না। ঘটনার সত্যতা মিললে অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা মামলায় পরিনত হবে। তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে দায়ের করা মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ ৩২৩ ও ৩০৭ ধারায়।

     




    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

    যে কারণে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

    ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

     সরাইলে তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন

    সরাইলে তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন

    ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

    খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ যে ভাবে শিকারি আটক!

    খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ যে ভাবে শিকারি আটক!

    ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন