বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চাষ করায় এক দিকে খরচ কম, সময় কম ও ফলন বেশী এবং দামও ভাল পাওয়ায় শিবগঞ্জে সরিষা চাষে কৃষকদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষা আবাদ বেশী হওয়ায় শিবগঞ্জের প্রতিটি মাঠই যেন হলুদ রঙে ভরে উঠেছে। শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের কৃষক শরিফুল জানান কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবছর ৩ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরায় আশানুরূপ ফলন হবে বলে মনে করছেন তিনি। ফলন ভাল দেখায় আশা বিঘা প্রতি ৫ মন করে সরিষা ঘরে তুলবেন বলে আশা করছেন ।
একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চল এলাকার কৃষক আলকেশ ও রফিক বলেন, তারা প্রত্যেকেই ধরলার চরে ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। প্রতি বছরেই চরাঞ্চলের জমিগুলোতে সরিষার আবাদে অল্প খরচেই লাভবান হন। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে তারা ইরি-বোরোর আবাদে খরচ মেটানো সম্ভব হয় বলে জানান।
উপজেলার কানসাট, শ্যামপুর, দূর্লভপুর, মনাকষা, শাহবাজপুর, চককীর্ত্তি, ধাইনগর, দাইপুখুরিয়া, উজিরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ভাল ফলন ও দাম বেশী হওয়ায় এবার বেশী করে সরিষা আবাদ করেছে। তাছাড়া এবার চেয়ে আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছি। উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের কৃষক শরিফুল জানান কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি এবছর ৩ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষাবাদ করেছেন। গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরায় আশানুরূপ ফলন হবে বলে মনে করছেন তিনি। ফলন ভাল দেখায় আশা বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন করে সরিষা ঘরে তুলবেন বলে আশা করছেন এই কৃষক।
একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চল এলাকার কৃষক আলকেশ ও রফিক বলেন, তারা প্রত্যেকেই ধরলার চরে ৩ বিঘা জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছেন।প্রতি বছরেই চরাঞ্চলের জমিগুলোতে সরিষার চাষাবাদ অল্প খরচেই লাভবান হন। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে তারা ইরি-বোরোর চাষাবাদ খরচ মেটানো সম্ভব হয় বলে জানান চাষিরা। তবে এবছর সরিষার ফলন ভাল দেখায় হাসি ফুটেছে ওই চরাঞ্চলের শতশত চাষিদের।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, গত বছর উপজেলার ৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। ফলন ভাল হওয়ায়ায় এবং দাম বেশী হওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদে অধিক আগ্রহী হওয়ায় ৭৬০ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা-১৪ ও ১৭ জাতের সরিষা চাষাবাদ করা হচ্ছে সরিষা। কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়ত কৃষকের সরিষা ক্ষেত দেখে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সরিষা একটি লাভ জনক ফসল। সরিষার ফলন ঘরে তোলার সঙ্গেই আবারও একই জমিতেই কৃষকরা বোরো চাষ করবেন। সরিষা বিক্রি করে কৃষকেরা বোরো আবাদের জন্য স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমেই সরিষার জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষাবাদ এ অঞ্চলে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়াসহ সরিষার ভালো দামের আশায়ও করছেন কৃষকরাগরিষা আবাদের জন্য ৪ হাজার ৭’শ জন কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের মাঠে মাঠে গিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে আছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা সরিষা আবাদের আগ্রহ বাড়ায় এবছর উপজেলার ৭৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি প্রান্তিক চাষিরা সরিষা চাষে লাভবান হবেন।