উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) নাম ভাঙিয়ে টাকার বিনিময়ে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠছে পত্নীতলার পাটিচড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নাবালিকা মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আব্দুল মালেক এর মেয়ে মোছা: আশা খাতুন (১২ ) এর সাথে একই এলাকার জামাল উদ্দীনের ছেলে মো: মানিক হোসেন (২৬) এর সাথে গত ১৭ জুন ২০২২ খ্রি: স্থানীয় মৌলভী দ্বারা এই বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়। বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হবার পরে মেয়ের বাবা আব্দুল মালেককে মেম্বার ইউসুফ আলী বলেন, এবাদত আলী নামে একজন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( সাবেক ) মো: লিটন সরকার সত্যতা যাচাই- বাছাই এর জন্য আমার উপর দায়িত্ব দেন। আপনিতো আইনী ভাবে ফেঁসে গেছেন। কারণ আপনি নাবালিকা মেয়েকে বিবাহ দিয়েছেন। সেই সময় মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক স্থানীয় মেম্বার মো: ইউসুফ আলীর নিকট বাঁচার কোন রাস্তা আছে কিনা জানতে চাইলে মেম্বার ইউসুফ বলেন, আপনি যদি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( সাবেক ) কে ১০ হাজার টাকা দিতে পারেন তাহলে সমস্যাটা সমাধান করে দিবো। এসময় মেম্বার ইউসুফ আরো বলেন, আমি একজন নির্বাচিত মেম্বার। আমার একটা ক্ষমতা তো আছেই। কাজেই ভয়ের কোন কারণে নেই। আইন আদালতের ভয়ে ইউসুফ মেম্বারের নিকট ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেবার জন্য।
এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( চলমান) মোছা: রুমানা আফরোজ বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।
মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি: