চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকারের দাবিতে এলাকাবাসী নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের ১৯৮ নং গঙ্গারামপুর(১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সরেজমিনে দেখা গেছে এবং এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নিম্নমানের বালি, খোয়া, ইট ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। খোয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে পিক ইট ভাঙার নিয়ম থাকলেও ২ ও ৩ নং ইট ব্যবহার করছেন ঠিকাদারের কর্মচারিরা। সিমেন্টের পরিমাণ কম ও বালির পরিমাণ বেশি দেয়া হচ্ছে। যা এলাকাবাসীর নজরে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধ করে দেন।
সরজমিনে এলাকার দুরুল হোদা, মোবাইদুর রহমান, সাহিদ, দোয়েল, জামাল উদ্দিন, সালাউদ্দিন, বিপ্লব, সোনিয়া বেগম ও তানজিলা বেগন সহ ২৫/৩০ জন নারী-পুরুষ জানান, কিছুদিন আগে একই ধরনের অনিয়মের কারণে আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পান এবং ঠিকাদারকে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার নিদের্শ দেন। ঠিকাদার অনিয়ম করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পূর্বের মতোই কাজ করছেন। এ দেখে আমরা আবারও কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

এব্যাপারে ১৯৮ নং গঙ্গারামপুর(১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফেজ মোঃ বুলবুল হক অনিয়মের অভিযোগ করে বলেন, এই ভবন নির্মাণে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ২ ও ৩ নং ইট দিয়ে কাজ করছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আঃ মান্নান সত্যতা
অস্বীকার করে বলেন, কাজের কোন অনিয়ম হচ্ছে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মানে কাজ করছি। তিনি আরো জানান, ৮০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৯৮ নং গঙ্গারামপুর(১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে কাজ করছি।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিমল কুমার ঘোষ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী আঃ হাকিম জানান, আগামীকালকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।