প্রাইভেট পড়ার টাকা বাকী থাকায় শিমুল নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর হাত থেকে শিক্ষক প্রশ্নপত্র কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেঝে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা দি¦মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ঘটনাটি ঘটিযেরেছে ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিষয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানী।
ভুক্তভোগী ছাত্র শিমুল জানান, আমি স্যারের কাছে ৩’শ টাকা মাসিক বেতনে ৬ মাস পড়ে আর যাইনি। এই ৬ মাসের টাকা মোট ১৮’শ টাকার মধ্যে ১৬’শ টাকা দিয়েছিলাম। বাকি ২’শ টাকা পরে দেয়ার কথা ছিলো, কিন্তু স্যার আমাকে বলে আমার কাছে তিনি ৩ হাজার ৩'শ টাকা পাবে।
বৃহস্পতিবার সকালে আমার বিদ্যালয়ে শারীরিক ও কর্মজীবন মূখি শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে তিনি ওই টাকা জন্য পরীক্ষা চলাকালীন সময় অর্থাৎ আমি প্রশ্ন লেখছিলাম, তখনই স্যার আমার কাছে এসে প্রবেশপত্র কেড়ে নিয়ে আমার পিতাকে ডাকতে বলেন।আমি আমার পিতাকে ফোন করে বিদ্যালয়ে আসতে বললে তিনি আসেন এবং সাথে এলাকার এক দাদা আসেন। টাকা দেয়ার পর আমাকে প্রবেশপত্র ফেরত দেন।
অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানী বলেন, শিমুল আমার কাছে প্রাইভেট পড়েছে অনেক দিন। সে মাঝে মধ্যে আসে আবার মাঝে মধ্যে আসে না। সময় মতোও বেতন দেয়নি। বিধায় তার কাছে ৩ হাজার ৩০০ টাকা বাঁকি পড়ে যায়। তাকে একাধিকবার বলেও সে টাকা দেয়নি। পরে তার পিতাকে বিষয়টি জানালে তিনি টাকা দেয়ার দায়িত্ব নেন এবং তিনিও সময়ের মধ্যে টাকা দেয়নি। তাই গত বৃহষ্পতিবার স্কুলে পরীক্ষা শেষে শিমুলের প্রবেশপত্র কেড়ে নয়, এমনিতেই চেয়ে নেয়া হয়েছে এবং তার বাবাকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
এব্যাপারে চাতরা দ্বিমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনায় নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পাবে না। আমার সহকারি শিক্ষক গোলাম রাব্বানী কেনো প্রাইভেট পড়াচ্ছে তা বলতে পারবো না। তবে, তিনি গত বৃহষ্পতিবার যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে ভুল করেছেন। যা আমি শিক্ষক হয়ে হতবাক হয়েছে। লেনদেনের বিষয় থাকলে তাঁরা আলাদাভাবে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু আমার অগোচরে তিনি শিক্ষক হয়ে এধরনের কাজ করবেন তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি উভয়পক্ষকে নিয়ে আমার অফিসে বসে সমাধান করা হয়েছে। যা গোলাম রাব্বানীকে সতর্ক করাও হয়েছে। তিনি যেনো এমন আচরণ আর না করেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মুস্তাফিজুর রহমান জানান, চাতরা দ্বিমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্র কেড়ে নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই।