শিবগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গৃহ বধু হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নে পিয়ালীমারী গ্রামের জেমের স্ত্রী ও মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নাজির উদ্দিনের মেয়ে জান্নাাতি বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে গৃহবধূর পিতার গ্রামের। পুলিশ বলছে এটি অপমৃত্যু এবং অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মনাকষা ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়াড সদস্য মফিজুল হক কান্টু জানান, তার খালাতো ভাই আলামীনের সাথে পরকীয়ার প্রেমের জের ধরে আলামীনই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে তার আত্মীয় স্বজনরা গোপালপুর জামাইপাড়া ও শিংনগর গ্রামের পিছনে আম বাগানে একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানায সংবাদ দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পারিবারিক ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে জান্নাতি বেগম তার পিতার বাড়ি হতে নিখোঁজ হয়। যা রাত ১১টার দিকে জানাজানি হয়। জান্নাতির চাচাতো ভাই আহসান হাবিব জানান রাত সাড়ে ১১টার দিকে জান্নাতি মুঠো ফোনে আমাকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার করার কথা বললেও আর তার কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানান, জান্নাতির আপন খালাতো ভাই ও চর ভবানীপুর গ্রামের আলমের ছেলে আলামিন তাকে কৌশলে আম বাগানে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে ও পরে তাকে হত্যা করে আম গাছে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। কারণ তার সাথে দীর্ঘদিব যাবত জান্নাতির পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার কারনেই জান্নাতিকে তার প্রথম স্বামী তালাম দিয়েছে। পরে পিয়ালীমারী গ্রামে জেমের সাথে বিয়ে হয়েছিল। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জুবায়ের আহাম্মদ বলেন আম গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।ময়না তদন্তের রিপোট পেলে আইননুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।