হাতিয়া প্রতিনিধিঃ দ্বীপ উপজেলা নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী আদর্শ, স্বচ্ছতা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এবং প্রাক্তন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের এক/এগারোর নেতীবাচক ভূমিকা থেকে হাতিয়া উপজেলা বিএনপি অনেকটা নেতৃত্ব শূণ্য হয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে সময়ে হাতিয়া বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে আন্দোলনের প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য সাংগঠনিক তৎপরতায় রয়েছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু।
জাতীয়তাবাদী আদর্শকে লালন করে নোয়াখালী জেলা বিএনপি'র উপদেষ্টা সক্রিয় এ নেতা ইতোপূর্বে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতির সংকটকালে অসামান্য অবদান রেখেছেন বলে জানা যায়।
সর্বপরি তিনি দলের প্রত্যাশা পূরণে মাঠে রয়েছেন। দলই তার মূল শক্তি। সেই শক্তিতে উজ্জিবীত হয়েই তিনি দলের আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছেন।
তৃণমূল পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দলের নতুন কমিটি গঠন ও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ করে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে দলটির হাতিয়াস্থ নেতাকর্মীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু ।
নেতা-কর্মিদের দাবী হঠাৎ কেউ যদি বস্তন্তের কোকিলের মত এসে প্রার্থী দাবি করে তাকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না। নোয়াখালী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু'কে দিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন পুনঃরুদ্ধার সম্ভব। তার পক্ষে সকল নেতা-কর্মী একতাবদ্ধ।
এলাকার উন্নয়ন ও নেতা-কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সবার আস্থা ও নির্ভরতারস্থল প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু । তিনি এ আসনে প্রার্থী হলে সকল কোন্দল নিরসন সম্ভব। অন্য কেউ দলীয় প্রার্থী হলে তাকে দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। আর দল দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও তারা মত দেন।
নেতাকর্মীদের দাবী প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু মূল দলসহ সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। তিনি এ আসনের প্রার্থী হিসেবে দলের যোগ্য ও জনপ্রিয় নেতা।
একান্ত আলাপচারিতায় প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু বলেন, দলের নেতাকর্মীরা এখনো দৃঢ় , এত মামলা হামলার পরেও আকড়ে ধরে আছে দলটি। তাই নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি নৈতিক দায়িত্ববোধের কারনে, এরাই দলের প্রাণ। এদের উপর ভর করেই একদিন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। সে পথ বেশী দূরে না। হাতিয়া উপজেলার রাজনীতিতে সকল প্রকার অনিয়ম ও বৈষম্যের অবসান ঘটানো আমার লক্ষ্য।
তৃণমূল থেকে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে না পারলে দেশের সংকটময় অবস্থায় জনগনের জানমালের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার আদায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই জন্মভূমি হাতিয়ায় বিএনপি’র হারানো জনপ্রিয়তা পুণরুদ্ধারে এবং কেন্দ্রঘোষিত আন্দোলন বাস্তবায়নে স্থানীয় রাজনীতিকে সক্রিয় করে তোলা পর্যন্ত আমি সাধারণ জনগন ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকল আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো।
তিনি আরো বলেন তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তিনি বদ্ধপরিকর। তাঁর নির্দেশনায় বিএনপি টিকে আছে এবং থাকবে। তারেক রহমানের প্রত্যেকটি নির্দেশনা আমরা পালন করছি। আশা করি তাঁর নির্দেশে তাঁর হাত ধরেই দেশে আবারো গণতন্ত্র ফিরবে। অপশাসন দূর হয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। আর সেটা বাস্তবায়নে যা প্রয়োজন, যা ত্যাগ স্বীকার করা প্রয়োজন সব আমি করবো ইনশাল্লাহ। আমি তারেক রহমানের উপরেই ভরসা করতে চাই, তাঁর নেতৃত্বেই অবিচল থাকতে চাই।