গত জুলাই মাসে আকস্মিক একটি হত্যা কান্ডকে কেন্দ্র করে ওই দিনই রাতে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন বিবাদীদের বাড়িঘর লুটপাট ও সন্ত্রানী হামলার ঘটনায় মামলার হওয়ার দেড় মাস পর তদন্ত না হওয়ায় ও তাদের হুমকীর মুখে বিবাদাী পক্ষের লোকজন এখনো গ্রাম ছাড়া হয়ে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ প্রশাসন বলছে কোন লুটতরাজ হয়নি। বিবাদীরা নিজেরাই মালামাল অন্যত্রে সরিয়ে রেখেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মোকাম বিজ্ঞ আদালতে মুত দাউদের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের করা শিবগঞ্জ মামলা নং সি/ ২০২২(শিব:)সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক একটি হত্যা কান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাবেয়া বেগম ছাড়া অন্যকেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিযে জাহাঙ্গীর হোসেন, আপণ,নাইমুল,মিলান,তাহির রফিক মশিউর এনামুল,ফারুক, জসিম,রকিব, রহিম, সহ প্রায় ১৫/২০ জনের একদল দূর্বৃত্ত ১৩ জুলাই ২০২২খ্রী; তারিখ বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বাড়িতে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে ৮০ বছওে বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট তরাজ চালায়। এ সময় আকবরের বাড়িতে মহিষ ,ছাগল হাসমুরগী বিক্রি বাবদ টাকা, স্বর্ণাংঙ্কার, শোয়ার ঘাট, শোকেস ওয়েব ড্রপ, ধান পাম্প, সেলাই মেশিন শরিসা, ধান চাউল, আটা, বাইসাইকেল, কাঁসার থালিবাটি সহ মোট ৮লাখ ১৮হাজার টাকা,একই ধরনের লুটপাটে বাদীনির ছোট ছেলে কালুর ঘর থেকে ১৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা,সরকার কর্তৃক বাড়ির সকলের জাতীয় পরিচয় প ত্র, জন্মনিবন্ধন সহ সবমিলিয়ে প্রায় ২৪লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।সরজমিনে দেখা গেছে বাড়ি ঘরের অনেক আসবার পত্র ভাঙ্গচুর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ধানের গোলা শুন্য,ঘরের ভিতরে সানশেটের উপরে পবিত্র কোরান শরীফ এলোমেলা হয়ে পড়ে আছে এবং কোরান শরীফের কভারটি মেঝেতে পড়ে আছে।, বাড়ির ঘরগুলোও ভাঙ্গচুর হয়ে আছে। এ সময় পাশের বাড়ির জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ও তার লোকজন মিডিয়ার লোকজনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয় এবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এমনকি গ্রামের যারা মিডিয়ায় মন্তব্য প্রদানকারীর কাছে কৈফয়ত চাইতে দেখা গেছে।
মামলার বাদী রাবেয়া বেগম বলেন বলেন, সেদিন ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটাাকাটির এক পর্যায়ে আমার এক পৌত্রের মাত্র একটি সবলের আঘাতে রবু মারা যায়। এ সময় পুলিশের ভয়ে বাড়িতে আমি ছাড়া কেউ না থাকার সুযোগে সেদিন রাত থেকে পরের দিন পর্যন্ত আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিযে জিম্মি করে প্রায় ২৪লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন সেদিন থেকে তাদের ভয়ে কেউ বাড়িতে আসতে না পারায় আমি ৮০ বছরের বৃদ্ধা মানুষএকা বাড়িতে থাকছি। এলাকার সোহেল বলেনহত্যা কান্ডের পর পরই তারা লুটপাট করে মালামালগুলো অন্যত্রে রেখেছে। এলাকার শহিদুল ইসলাম জানান, বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তারা এখনো বিভিন্ন জনকে মামলার আসামী করা ভয় দেখচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই লুটপাটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার ভয় দেখিয়ে আমরকে আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে হত্যা মামলার বাদী পক্ষ। এদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জেমের সাথে তার মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আত্মীয় স্বজনরা হত্যা ঘটনার সাথে বাদী পক্ষের লোকজনের দ্বারা লুটপাটের ঘটনা সত্য বলে জানান।এব্যাারে উভয় মামলার তদন্তকারী অফিসার ওসি(তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্তে হত্যা মামলার সত্যতা পেয়েছি। তবে বাদী পক্ষের দ্বারা লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। যতটুকু পেয়েছি তাতে বিবাদীরাই তাদের মালামাল অন্যত্রে সরিয়ে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন লুটপাটের মামলার স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য দিচ্ছে না । তবে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা বাড়িতে উঠতে পারছে না বলে মৌখিক অভিযোগ করছে তারা আমাদের সাথে যোগযোগ করছে না বা কোন লিখিত অভিযোগও দিচ্ছে না লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। কোন শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জুবায়ের আহাম্মেদবলেন, ওসি(তদন্ত)কে তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে।তদন্ত শেষে প্রমানাদিও ভিত্তিতে সঠিক প্রতিবেদন দেয়া হবে।