নওগাঁ পত্নীতলায় নজিপুর পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: আরাফাত হোসেন ( পারভেজ ) এর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শুক্রবার সকালে জমির মালিক মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন বাদী হয়ে নজিপুর পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন ( পারভেজ ) সহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে অঙ্গাতনামা ২৪/২৫ জনকে বিবাদী করে পত্নীতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১৮ আগষ্ট অনুমান রাত্রি ১০.৪০ মিনিটে ১. মো: হোসাঈন ২.মোছা: শারমিন সুলতানা ৩. পারভেজ (নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ) ৪. মাহমুদুল্লাহ ৫. মো: মহসীন আলীসহ অঙ্গাতনামা ২৪/২৫ জন লাঠি, হাসুয়া, লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মো: জাহাঙ্গীর আলমের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, এই জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। এই সম্পত্তির উপর দীর্ঘ্যদিন ধরে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসতেছি। বেশ কিছুদিন ধরে ১ নং অভিযুক্ত আমাকে জমি ছেড়ে দেবার জন্য বিভিন্ন ধরণের হুমকি- ধামকি দিয়ে আসতেছিলো। হঠাৎ গত রাত অনুমানিক ১০.৪০ মিনিটের সময় ১ নং অভিযুক্ত মো: হোসাঈন ৩০ জনের মতো লোকজন নিয়ে এসে আমার বসতবাড়ি দখল করতে শুরু করে। আমি আমার জমির কাগজপত্র দেখাতে চাইলে ৩নং বিবাদী নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমরা জমির কোন কাগজপত্র মানিনা এবং আপোষ মিমাংসা করবো না। তোমাদের কিছু করার থাকলে করে দেখাও। আর এখন আমাদের কাজে যে বাধা দিতে আসবে তাকে প্রাণে মেরে ফেলে এই জমিতেই পুঁতে রাখবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন পারভেজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। এই জমিটি আমি বায়নানামা করে নিয়েছি। আমি তাদের বার বার বলেছি জমি যদি আপনাদের হয়ে থাকে তাহলে কাগজপত্র দেখান। তারা আমাকে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ফরহাদ হোসেন বলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে এটি আমরা অবগত আছি। যেহেতু আমাদের কমিটি জেলার অধিনে সেহেতু জেলা কমিটি এবিষয়ে সিদ্দান্ত গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) সামছুল আলম শাহ্ বলেন, লিখিত অভিযেগের বিষয়ে এখনো কোন তথ্য পাইনি। লিখিত অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত অনুযায়ী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।