আজ ফেসবুকে সকলের মাঝে একটি সত্য কথা বলবো। আমি একজন বাংলাদেশ গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্য। আমি সত্যিকারে একজন অপরাধী।
আমার মা আমাকে দশ মাস দশদিন গর্ভে ধারন করেছে, মায়ের রক্ত খেয়ে পেটে বেড়ে উঠেছি এবং পৃথিবীতে এসেছি মায়ের কোলেই পায়খানা প্রসাব করেছি। আর বাবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাবার এনে খাইয়ে পড়িয়ে এত বড় করেছেন আজ আমার বাবা ও মায়ের বৃদ্ধ বয়স তাহারা এখন আর আগের মতন কাজ কর্ম করতে পারেনা। কিন্তু এখন আমার দায়িত্ব-ছেলে হিসাবে আমার বাবা মায়ের ভরণ পোষন করা, তাদের সকল চাহিদা পুরণ করতে আমি পারিনা। এখানেই আমি মনে করি বাবা মায়ের কাছে আমি চরম অপরাধী।
বাবা হিসেবে আমি আমার সন্তানদের পারছিনা ভালোভাবে ভরণপোষণ দিতে, ভালো স্কুলে পড়াশুনা করাতে, ভালো পোষাক দিতে, তিন বেলা ডাল ভাত দিতে, এই কারণে আমি মনে করি বাবা হিসেবেও আমি একজন অপরাধী।
আমার বাচ্চার আম্মু সে একজন সাদামাটা মানুষ। তাকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি অনেক সুখী, কারণ তাহার বেশি কিছু চাওয়া পাওয়া নেই। মোটা কাপড় আর তিন বেলা ডাল ভাতেই সে খুশি। কিন্তু আমি স্বামী হিসেবে তাউ তাকে দিতে পারছিনা এই কারণে আমার কাছে মনে হয় স্বামী হিসেবেও আমি অপরাধী।
আর এলাকাবাসী পাড়া প্রতিবেশী সকলের কাছেই তো আমি অপরাধী কারণ আমি মাধকের বিরুধে পুলিশের অভিযানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করি, ওয়ারেড থাকা আসামিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেই এবং গ্রাম থেকে সকল অপরাধ নির্মূলে সর্ব সময় কাজ করি এরকম আরো অনেক কাজ করারকারণে আমি গ্রামের মানুষের কাছে অপরাধী।
আমি মোঃ উজ্জল খান একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে সমাজের মাঝে থাকতে চাই এই অপরাধ জীবন থেকে মুক্তি চাই, বাবা মায়ের ভরণ পোষণ করতে চাই, সন্তান ও স্ত্রীর দাইত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে চাই। তাই এই অপরাধী জিবন থেকে মুক্তি পেতে হলে গ্রামপুলিশ বাহিনীর চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। আমাদের একটি মাত্র দাবি গ্রামপুলিশের চাকরি জাতীয়করণ চাই।