চব্বিশ একাত্তর বাহান্ন, হারতে দেব না কখনো" স্লোগানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ২০২৪ সালের ধারাবাহিকতায় এবছরও সাধারণ সংস্কৃতিকর্মী ও শিল্পীসমাজ আয়োজন করেছে "লাল জুলাইয়ের কবিতা-২০২৫।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এই আবৃত্তি আয়োজন। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যে সকল কবি জুলাইকে কাব্যরূপ দিয়েছেন সেখান থেকে বাছাইকৃত কবিতা আবৃত্তি করেন প্রায় একশত আবৃত্তিশিল্পী ও কবি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ইয়ামিনের বাবা মো. মহি উদ্দীন ও গণঅভ্যুত্থানে গুলি খেয়ে মুখের অবয়ব হারানো জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মন।
আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সুপ্রিম কোর্টের এটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মো. মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান।
বিকাল ৪টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন। এরপর মাইলস্টোন ট্রাজেডি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন সমবেত সকলে। পরে বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী সামছুদ্দোহা পাটোয়ারির নির্দেশনায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কামাল পাশা কবিতার কোরাস আবৃত্তি দিয়ে শুরু হয় আয়োজনের মূল পর্ব।
আয়োজনের শুরুতে লাল জুলাইয়ের কবিতার আয়োজন নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন লাল জুলাইয়ের কবিতার তিন উদ্যোক্তা- আঞ্জুমান লায়লা নওশিন, ফাহমিদা সূচনা ও অনন্যা মাহমুদ।
এরপর আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী মেহেদী হাসান। এসময় জুলাইয়ে মুখের অবয়ব হারানো আহত যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মন নিজের চিকিৎসা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। একে একে বক্তব্য রাখেন আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে লাল জুলাইয়ের কবিতা আবৃত্তি করেন দেশের বিশিষ্ট ও উদীয়মান আবৃত্তিশিল্পীরা। পরে মুক্তির মন্দির সোপানতলে গানের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় লাল জুলাইয়ের কবিতা ২০২৫।