নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে সুবর্ণচর উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ইয়েলো ড্রাগন, ব্ল্যাক কুইন চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। অনাবাদি পতিত জমি আসছে আবাদের আওতায়। স্বল্প সময়ে, অল্প খচরে, সহজ চাষাবাদে তরমুজ চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। ন্যায্যমূল্য পেলে দিন দিন উৎপাদন আরও বাড়বে। তীব্র তাপপ্রবাহে এ তরমুজ তৃঞ্চা মেটাবে জনজীবনে। এছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে রপ্তানি করাও সম্ভব বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
নোয়াখালীর শস্যভান্ডারখ্যাত সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরবাটার কৃষক শ্রীবাস চন্দ্র দাস অবসরে বসে না থেকে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় গত বছর নিজের পতিত ১০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ইয়েলো ড্রাগন, ব্ল্যাক কুইন চাষের উদ্যোগ নেন। প্রথম বছরেই তিনি সফলতার মুখ দেখেন। ভালো ফলন ও লাভ পাওয়ায় এবার তিনি ৫০ শতক পতিত জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন।
শ্রীবাস জানান, শুধু তিনি নন, তার দেখাদেখি অন্যরাও ঝুঁকছেন তরমুজ চাষে। তার সফলতা দেখে উপজেলার অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও এবার গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ইয়েলো ড্রাগন, ব্ল্যাক কুইন চাষ শুরু করেছেন। অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এ তরমুজ চাষ করতে পারায় খুশি তারা।
কৃষক আবুল কাশেম জানান, পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। অন্য তরমুজের চেয়ে এ তরমুজের স্বাদও বেশি, দামও বেশি। ন্যায্যমূল্য পেলে আগামীতে চাষাবাদ আরও বাড়ানোর কথা বলেন কাশেম মিয়া।
উপসহকারী কৃষি অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, যে কোনো কৃষক ইয়েলো তরমুজ ড্রাগন ও ব্ল্যাক কুইন তরমুজ চাষ করতে চাইলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। উৎপাদন বাড়লে দেশে এবং দেশের বাইরে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
সুচর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ জানান, ইয়েলো ড্রাগন ও ব্ল্যাক কুইন তরমুজ বাংলাদেশে প্রথম চাষ হয় চুয়াডাঙ্গায়। এরপর জয়পুরহাট, মেহেরপুর ও ঢাকার ধামরাইতে হলেও এটি এখন নোয়াখালীর কৃষকরা চাষ শুরু করেছেন। চলতি বছর সুচর্ণচরে ১০ হেক্টর জমিতে ইয়েলো ড্রাগন ও ব্ল্যাক কুইন তরমুজ চাষ করা হয়েছে।