ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা-খুলনা মহা সড়কের গড়াই সেতু! এমনি তথ্য পাওয়া গেছে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গড়াই সেতুতে।
ঢাকা-খুলনা মহা সড়কের ওয়াপদা গড়াই নদীর সেতুটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯১ সালে। ততকালীন ব্রিটিশ সরকারের সৌজন্যে নির্মিত আজকের এই গড়াই সেতু উদ্বোধন করেন ততকালীন সরকার বেগম খালেদা জিয়া।
৬ শত ২২ মিটারের এই সেতুটি নির্মাণ কাজের খরচ ধরা হয় ৫০ কোটি টাকা। গত ৩১ বছরে নির্মাণ খরচের তিন গুনের বেশি উঠে গেলেও এখন চলমান রয়েছে টোল আদায়।
এ বিষয় নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি সেতু টির সংস্কার, ভারী যানবাহন চলায় সেতুটির নিচের মূল পাটাতনের নাট গুলো খুলে পড়ে গেছে, খোঁজ রাখেনি কেউ। এমনকি সেতুর উপরে দুই অংশের মধ্যে সংযুক্ত এক্সপাংশোন জয়েন্ট তুলে নিয়ে বিক্রি করেছে চোর সিন্ডিকেট। এ অংশ ডাকতে পিচ আর কুচি পাথর ব্যবহার করেছে সড়ক জনপদ বিভাগ। তবে সংস্কার হিসেবে সেতুর সামনে সড়কে দেয়া হয়েছে শুধু রং এর প্রলেপ। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক স্থান বেঁকে গেলেও করা হয়নি মেরামত! তবে এ বিষয় যানবাহন মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ১ জুলাই থেকে ৪৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮৪০ টাকার বিনিময়ে তিন বছরের জন্য এ সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মেসার্স মোস্তফা নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে তিন বছরের জন্য টোল আদায়ের ইজারা পেয়ে ছিলেন মেসার্স মোস্তফা নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতু থেকে সে সময় পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছিলো ১৪৭ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা। তবে এ থেকে পুরা তিন বছরের কন্টাক্ট এর টাকা যোগ করলে আরো কিছু বেশি হবে বলে তারা জানান।
পাশাপাশি গড়াই সেতুটির নির্মাণ খরচের প্রায় তিনগুণের বেশি টাকা ইতিমধ্যে উঠে এলেও সেতুটি টোলমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং বাস ও ট্রাক মালিক এবং শ্রমিক সমিতির ক্ষোভের অন্ত নেই।
সড়ক জনপদ বিভাগ আমির হোসেন এসইএ, তিনি বলেন, গত জুলাই ১-৭-২১ইং সালে, নতুন করে তিন বছরের জন্য টোল আদায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেসার্স ডেপোড্রিল কনস্ট্রাকশন নামের চুয়াডাঙ্গার একটি প্রতিষ্ঠান, এবারের কন্টাক্ট হয়েছে ৫০ কোটি ১৬ লাখ টাকায়।
সেতু পারাপার হওয়ায় একাধিক জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে,তারা বলেন দ্রুত ভাবে গড়াই সেতু টির সংস্কার না করা হলে বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়তে পারে সেতুটি।
তবে এ বিষয় ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ মোঃ ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, ইতোমধ্যে টেকনিক্যাল টিম তদন্ত করেছেন, সে মোতাবেক কতৃপক্ষ জার্মান থেকে এক্সপাংশোন জয়েন্ট এনে সেতুটির সংস্করণ করার প্রস্তুতি চলছে, আমরা আশা করছি আগামী পনেরো দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো।