শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • পত্নীতলায় স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগ

    পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি

    ২৪ মে, ২০২২ ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন

    পত্নীতলায় স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী পেটানোর  অভিযোগ

    নওগাঁর পত্নীতলার পুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: দুলাল হোসেনের বিরুদ্ধে এএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলমান অবস্থায় বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শামীম রেজা নামক একজন শিক্ষার্থী  বাদী হয়ে পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করেছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার (২২ মে) দুপুর আনুমানিক ১২ টায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার পুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: দুলাল হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিচারের নামে শিক্ষা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি দুই পরীক্ষার্থী মো: শামীম রেজা ও মো: আজমাইন খন্দকারকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।

    এ বিষয়ে অভিযোগকারী শামীম রেজা বলেন, প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী  আমাদের ছোট ভাই মো: সাব্বির হোসেন অকারণে আমাদেরকে খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। বিষয়টি জানার পরে আমরা সাব্বিরের কাছে যাই এবং বলি ভাইয়া তুমি আমাদেরকে নাকি খারাপ ভাষায় বকাককি করেছো। সাব্বির আমাদেরকে তখনো অনেক খারাপ ভাষায় কথা বলে এবং আমাদের স্কুলের সভাতির নাম ধরে বলে , এই স্কুলের সভাপতি আমার চাচা। আমি এই স্কুলের নেতা, আমি যা বলবো তাই হবে। তখন আমি ছোট ভাই সাব্বিরকে শাসনের জন্য একটা থাপ্পর মারি। যার কারণে আমাদের প্রধান শিক্ষক আমাদের বিচার করে, আমরা তা মাথা পেতে নিই।

    এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদপুঁইয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মো: ইমরুল কায়েস নামের একটি ছেলে আমাকে ও আমার বন্ধু আজমাইন খন্দকারকে স্কুলের গেটে নিয়ে মারধর করে তখন আমি নিজের জীবন রক্ষার্থে বাবাকে ফোন দিই। তাৎক্ষণিকভাবে বাবা স্কুলে আসেন। বাবা অফিসে বসে থাকা অবস্থায় সকলের অনুমতিতে আমি বাহিরে আসি। রুম থেকে বাহিরে আসার পরে আমাকে আবারো ইমরুল কায়েস ও তার চার পাঁচজন ছেলে স্কুলের মাঠে বেধড়ক মারপিট করে অফিসে ধরে আনেন। অফিসে আসার সাথে সাথে আমাদের কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়েই স্কুলের সভাপতি মো: দুলাল হোসেন বাঁশের কাঁচা লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে আর বলে আর কোনদিন স্কুলের ভিতরে যেন তোদের না দেখি। পরীক্ষার প্রবেশপত্র পর্যন্ত তোদের দেওয়া হবেনা। আমরা অসহায়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহিরাগতদের দ্বারা মাইর খেলাম, বিনা অপরাধে সভাপতির হাতে মাইর খেয়ে নিজেদের ভবিষ্যত রক্ষার্থে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। আমাদের উপর অন্যায় করা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।

    অভিযোগকারী  শামীম রেজার বাবা মো: বুলবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে শিক্ষকরা শাসন করবে এতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বহিরাগত ও  সভাপতি কেন মারবে? আমরা গরীব বলে ওরা যা ইচ্ছে তাই করবে? আমার ছেলেকে কেন অন্যায়ভাবে মারা হলো? আমি এর সঠিক ও ন্যায় বিচার চাই।  

    এলাকার সচেতন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, বহিরাগতরা এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর হাত উঠাবে এটি কখনোই মানার মতো না। শিক্ষার্থীরা অপরাধ করবে শিক্ষকগণ আছেন তারা শাসন করবে কিন্তু এখানে বহিরাগত ও সভাপতি কেন? আমরা দ্রুত ন্যায় বিচারের বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি তাদের বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।  

    পুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মোস্তফা আলী  মন্ডল জানান,  এএসসি পরীক্ষার্থী  শামীম রেজা ও আজমাইন খন্দকার এবং ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাব্বিরের সাথে বেশ কিছুদিন থেকে ঝামেলা চলে আসছিল। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দিয়েছি। গত রবিবার হঠাৎ জানতে পারি ইমরুল কায়েস নামের একাট ছেলে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমার শিক্ষার্থীকে মারপিট করেছে আমার স্টাফদের সামনে। এ বিষয়টি আমি সভাপতিকে জানালে সভাপতি বহিরাগত ইমরুল কায়েসকে কিছু না বলে শিক্ষার্থী  শামীম রেজা ও আজমাইন খন্দকার বেত দিয়ে একটু শাসন করে। সভাপতি কোন শিক্ষার্থীদেরকে বেত দিয়ে শাসন করতে পারে কিনা এই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেন, সভাপতি কেন কোন শিক্ষক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে হাত উঠাইতে পারে না।

    অভিযুক্ত পুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইমরুল কায়েসের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরুল কায়েস মারার কথা স্বীকার করলেও সভাপতি দুলাল হোসেন প্রথমত অস্বীকারে গেলেও প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদেকে মারর কথা স্বীকার করেন।

    পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) শামছুল আলম শাহ্ জানান, এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত অনুযাযী  অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসহাক আলী বলেন, পুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি দ্বারা শিক্ষার্থীদের শারারিক নির্যাতনের বিষয়টি আমি আবগত আছি। আমাদের শিক্ষা আইন অনুযায়ী  সভাপতি তো দূরের কথা কোন শিক্ষক পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থীদের শরীরে হাত দিতে পারবেনা। যদি অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত উঠায় তাহলে আইন অনুযায়ী  তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    পত্নীতলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত ) ও সহকারী কমিশনার ভুমি মো: রাশেদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নেই। যদি ঘটনা সত্য হয়ে থাকে তাহলে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 




    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ২৪ মে, ২০২২ ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন