দ্বিতীয় বিয়েবার্ষিকীতে স্ত্রীকে হেলিকপ্টারে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসলেন বগুড়ার তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা রাইসুল। প্রথমবারের মত স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসতে ব্যতিক্রমি এই উদ্যোগ এলাকাবাসীর মাঝে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি শুক্রবারের।
জানা গেছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী বাজারের তরুণ রাইসুল ইসলাম একটি বেসরকারি ব্যাংকের নওগাঁ শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। রাইসুলের বাবা আবদুল মান্নান দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী বাজারের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বামুজা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। অন্যদিকে রাইসুলের স্ত্রী রিজিয়া আকতার বামুজা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা আবদুর রশিদ বামুজা দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা এবং দুপচাঁচিয়ার দাইমপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক।
রাইসুল ইসলাম জানান, তাঁর স্বপ্ন ছিল বিয়ের পর নতুন বউকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে ঘরে তুলবেন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে করলেও করোনার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অবশেষে তিনি স্ত্রীকে প্রথমববার ঘরে তুলতে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছেন।
রাইসুলের বাবা আবদুল মান্নান বলেন, শুক্রবার মূলত তাঁর ছেলের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও এপ্রিল মাসে তাঁর ছেলের বিবাহবার্ষিকী ছিল। তবে রোজার কারণে তখন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। আর ছেলের স্ত্রীকেও এখনো বাড়িতে ওঠানো হয়নি। সব মিলিয়ে শুক্রবার আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যান রাইসুল। এরপর সেখান থেকে রাইসুল তাঁর স্ত্রী রিজিয়া আকতারকে নিয়ে সকাল ১০টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী বাজারে নিজ বাড়িতে ফেরেন। হেলিকপ্টারে স্ত্রীকে নিয়ে আসার খবরে চৌমুহনী বাজারের একটি চাতালে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় হয়।
এর আগে সকালে রাইসুল হেলিকপ্টার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বামুজা গ্রামের সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে যান। এ সময় সেখানেও হেলিকপ্টার দেখতে গ্রামের মানুষ ভিড় জমান। বামুজা গ্রামের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, এই অজপাড়াগাঁয়ে কেউ কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখেনি। তাই আমরা সবাই হেলিকপ্টার দেখতে এখানে ভিড় করেছি। রাইসুল-রিজিয়া দম্পতির এই ব্যতিক্রমি সখ পুরণের বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোেচিত হচ্ছে।