সারা দেশের ন্যায় শিবগঞ্জেও গত ১ এপ্রিল হতে সরকারিভাবে গম সংগ্রহের সময় নির্ধারিত থাকলে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোন গম সংগ্রহ করা হয়নি। সংরক্ষিত হয়নি কৃষকদের তালিকা। এমনকি এখন পর্যন্ত কোন প্রচার-প্রচারণাও হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পেলে কিছুই করতে পারবো না।
সরজমিনে শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামে গেলে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ওসি এলএসডি রাসেল উদ্দিন অফিসে ছিলেন না। তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফোনে কোন আলাপ হবে না। আগামীকাল দশটার পরে আসেন। তার কথা মত পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার অফিসে গেলে তাকে পাওযা যায়নি।
গত ৩ এপ্রিল উপজেলা খাদ্য ও রবিশস্য সংগ্রহ ও মিনটরিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সরকারিভাবে ২৮টাকা কেজি দরে ৫০৬৪ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করতে হবে। সভার সিদ্ধান্ত মোতবেক একজন কৃষক ন্যুনতম ১৫০ কেজি ও উর্দ্ধে ৩ মেট্রিক টন গম সরবরাহ করতে পারবে।
এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা জান মোহাম্মদ জানান, কৃষকদের গম সরবরাহ না দেয়ার একমাত্র কারণ হলো খোলা বাজারে গমের দাম কেজি প্রতি ৩২ টাকা ও সরকারি দাম কেজি প্রতি ২৮টাকা। বাইর বেশি পাওয়ায় তারা গুদামে গম সরবরাহ দিচ্ছে না। তিনি আরো জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ না পাওয়ায় গম সংগ্র্রহের জন্য কোন প্রচারণা চালানো হযনি। তবে দুই একদিনের মধ্যে প্রচারণা চালানো হবে। সোমবার সকালে উপজেলা কৃষি থেকে পাঠানো হাতে লিখা ২৭ শ জন কৃষকের তালিকা পেয়েছি। বাকীগুলো পর্যায়ক্রমে পেয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। মোট কত জন কৃষকের তালিকা হবে তা জানানে পারেননি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, আজকে ২৭শ জন কৃষকের তালিকা খাদ্য অধিদপ্তরকে দেয়া হয়েছে, আরো ২ হাজার জনের তালিকা দুই একদিনের মধ্যে দিব। গম সংগ্রহের নির্দিষ্ট তারিখ হতে এতদিন পর কেন তালিকা সরবরাহ করছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িযে যান।
উল্লেখ্য যে সরকারিভাবে ২৮ টাকা কেজি দরে সারা দেশে মোট ১লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ১ এপ্রিল হতে ৩০ জুনের মধ্যে গম সংগ্রহের কথা। যেটি উপজেলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।