নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে ছয়টি রুটে চলাচলকারী ছোট লঞ্চের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে প্রায় ৩০ বছর চলাচলকারী ছোট নৌযানের অবসান ঘটল। যাত্রী ভোগান্তি ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে যাত্রী পরিবহনের জন্য দেয়া হয়েছে বড় লঞ্চ। বড় লঞ্চে যাত্রীরা খুশি হলেও ছোট লঞ্চের তুলনায় বড় লঞ্চে ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, মতলব, মোহনপুর, শরীয়তপুরসহ ছয়টি রুটে প্রায় ৭০টি ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল করত। প্রায় ৩০ বছরের বেশি পুরনো ও লক্কড়ঝক্কড় মার্কা এসব লঞ্চ প্রতি বছরই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ঘটে প্রাণহানি। ২০২১ সালে ৪ এপ্রিল এসকেএল থ্রি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান ডুবে ৩৪ জন এবং চলতি বছরের ২২ মার্চ রূপসী বাংলা ৯ মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ যাত্রী নিহত হন। এ দুর্ঘটনার পর থেকেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ ছোট লঞ্চ চলাচলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সভা শেষে এ ছোট লঞ্চ চলাচলের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এ ব্যাপারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ছোট ছোট লঞ্চ চলাচলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি বহাল আছে। যাত্রী নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ছোট লঞ্চ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর যুগ্মপরিচালক মাসুদ কামাল জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে ছোট লঞ্চ বন্ধ করে বড় লঞ্চ দেয়া হয়েছে। আগামীতে যাত্রী চাপ বাড়লে এ বড় লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে।