নওগাঁর পত্নীতলা চকনিরখীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা: নারগিস পারভিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম (পোশাক) বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি বিধি-নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পোশাক কোম্পানির সাথে লিয়াজো মেন্টেন করে শিশু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে সামান্য কিছু টাকার লোভে স্কুল ইউনিফর্ম কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক শর্তে চকনিরখীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক বলেন, আমরা মেডামকে বলেছিলাম আমরা বাহির থেকে পোশাক নিতে চাই। কিন্তু মেডাম বলেন- এটা আমরা নিয়ম করেছি। আমাদের এখান থেকেই নিতে হবে। আমরা কোন উপায় না পেয়ে মেডামের কাছ থেকে বাচ্চাদের পোশাক নিই।
কোম্পানির ডিলারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মিসকে আমরা একটা সেট দিই ৪৫০ টাকা দিয়ে। তবে প্রতিটি সেট থেকে ৫০ টাকা করে কমিশন হিসাবে মিছকে আমরা দিয়ে থাকি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত চকরীরখিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা: নারগিস পারভিন বলেন, আমি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে বাচ্চাদের স্কুল ইউনিফর্ম দিচ্ছি এটি সত্যি। কিন্তু কাউকে জোর করা হচ্ছেনা। ৫০ টাকা কমিশনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুলে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান হয়, এই টাকা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও স্কুলের ম্যানেজিং সভাপতি লিটন সরকারের অনুমতিক্রমেই নেওয়া হচ্ছে।
পত্নীতলা উপজেল প্রাথমিকা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি তিনি এধরণের কাজ করে থাকেন তাহলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সিনিয়র অফিসারের নিকট সুপারিশ করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: মোখলেছুর রহমান জানান, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি কোনভাবেই স্কুল ইউনিফর্ম কিনতে কাউকে বাধ্য করতে পারেন না। যদি তিনি এ ধরণের কাজ করে থাকেন তাহলে তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে চকনিরখীনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পত্নীতলা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা লিটন সরকার বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি অন্যান্য জায়গার চেয়ে আমরা এখানে অনেক কম দামে ভালো মানের ইউনিফর্ম পাচ্ছি। যার কারণে আমরা বলেছিলাম এখান খেকে নেবার কথা, কিন্তু কাউকে বাধ্য করা হয়নি। আর যদি প্রধান শিক্ষিকা এ কাজ করে থাকেন সেটি আমি জানিনা। আর ইউনিফর্ম প্রতি ৫০ টাকা কমিশন বা প্রতিষ্ঠান ফান্ডে জমা করার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি তিনি এধরণের কাজ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।