শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • তাড়াইলে বোরো খেতে বৃষ্টির দোলা-কৃষকের মুখে হাসি

    কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

    ২ এপ্রিল, ২০২২ ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

    তাড়াইলে বোরো খেতে বৃষ্টির দোলা-কৃষকের মুখে হাসি

    কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ইরি-বোরো ধানের আবাদি বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ চারিদিকে সবুজের সমারোহ। গত শুক্রবার রাতে একটানা দেড় ঘন্টার বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে বোরো ধানের খেতে।

    বাতাসে ছোট ছোট ঢেউয়ের মতো দোল খাচ্ছে সবুজ ধানের পাতাগুলো। মাঠে নয়ানাভিরাম দৃশ্য দেখে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। ক'দিন পরেই সবুজ চারাগুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। ধান বিক্রিতে পরিশোধ হবে দেনা ঋণের বোঝা, মিটাবে সংসারের ভরণ-পোষণ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও নতুন জামার বায়না, কৃষাণীর গায়ে জড়াবে  নতুন শাড়ি।

    তাড়াইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় নয় হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত বোরো চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। সার, বীজ ও বালাইনাশক সংকট নেই।

    সরেজমিনে দেখা যায়, তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আড়াইউড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক নব কুমার তালুকদার নিজ জমিতে রোপন করা সুষ্ঠু সবল সবুজ ধানের চারাগুলো হাতড়াচ্ছিলেন। এমন সুন্দর চারা দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। প্রত্যুষে কাক ডাকা ভোরে খেতের আইলে-আইলে নিজের স্বপ্ন দেখতে বিভোর। সন্তানের মতো স্নেহের স্পর্শে ধানের চারায় পরিচর্যা করে কাটছে নিজের এবং আশেপাশের কৃষকের দিন।

    ঘরে ঘরে ব্যস্থ সময় পার করছেন কৃষাণি। ধানের আগমনী বার্তায় ধানের গোলা, কুলো, খাঁচা ইত্যাদি গোছানোর কাজেব্যস্ত। এবছর সার ও বিদ্যুতের কোনো সংকট না থাকায় খুবই ভালো ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষক। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে জানান তারা। নিজেদের জমিতে বালাইনাশক দিতে গিয়ে তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের কৃষক হারুন মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। ফলন খুব ভালো হবে।

    তবে বাজারে ধানের পর্যাপ্ত মূল্য না থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেছেন চাষিরা। কৃষকদের দাবি, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে যে পরিমান খরচ ও শ্রম ব্যয় করা হয়, সে তুলনায় ধানের মূল্য তারা পাচ্ছেন না। ফলে ধান চাষের আগ্রহও হারিয়ে ফেলছেন অনেক কৃষক। তাদের দাবি সরকার যেমন করে সার-বীজ, কীটনাশক ও বিদ্যুতের ঘাটতি মিটিয়েছে, তেমনই ধানের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করলে প্রান্তিক চাষিদের দুঃখ-দুর্দশা ঘুচে যাবে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশরাফুল আলম জানান, এবছর উপজেলায় নয় হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় অধিক।আর কিছুদিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে অত্র উপজেলারয় রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ২ এপ্রিল, ২০২২ ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন