অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করায় ২৭ নং রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। খননকাজটি হচ্ছে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ঘোসলওদা রঘুনাথপুর গ্রামের মুশা খাঁ দিঘিতে।
মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘোষলওদা রঘুনাথপুর গ্রামের পাশে একই গ্রামের মৃত আফসার হাজির ছেলে আঃ রাজ্জাকের মালিকানাধীন রায় ১০ বিঘা এলাকাজুড়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। পুকুরের চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে আমবাগান, বসতবাড়ী ও ২৭নং রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পুকুর খনন কাজের তত্ত্বাবধায়ক দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের গোলাপ বাজার এলাকার মৃত হাজী মোতাহার হোসেনের ছেলে বাদরুজ্জামান জানান পুকুরটি বিট্রিশ আমলের প্রায় ২০ বছর পর মুল মালিক আঃ রাজ্জাকের মালিকানায় খনন কাজ চলছে। ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে প্রায় ৭-৮টি ট্রাক্টরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মুল মালিক আঃ রাজ্জাক প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছেন । অনুমোদন পেয়েছে কি?না জানিনা।তিনি আরও জানান পুকুর বা দিঘি খননে পুকুর সংলগ্ন আমবাগান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবেনা। এব্যাপারে মুল মালিক আঃ রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাসাবাড়ি গিয়ে পাওয়া যায়নি। এমনকি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

২৭ নং রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ এলিজা ইয়াসমিন জানান, পুকুর বা দিঘি খননে আমাদের বিদ্যালয়টি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। আমি বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অবহিত করেছি ও রেজুলেশন সহ লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান পুকুর বা দিঘি খননে বিদ্যালয়টি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাকিব আল রাব্বি জানান এ বিষয়ে কোন আবেদন পাইনি। তবে বিষয়টি পরে দেখবো।
উল্লেখ্য যে উপজেলা জুড়ে নদী ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বালু ও মাটি উত্তোলনের কাজ চলছে এতে হুমকির মুখে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। শুধু তাই নয় উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে পুকুর ও মাটি খননের কাজ। জানা গেছে এসব নদী, পুকুর, খননে সরকারি কোন অনুমোদন নেই।