পুকুর ও জলাশয় ভরাটের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুকুরকে ডোবার নাম করণ করে নিমার্ণ করা হচ্ছে পত্নীতলার নজিপুর পৌরসভা ভবন। গণমাধ্যমের নিকট আসা নজিপুর পৌর ভবনের জন্য ক্রয়কৃত জমির দলিল ও আর এস খতিয়ানে দেখা যাচ্ছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
১৯৭২ সনের আরএস খতিয়ানের ৯৩৬ দাগে দেখা যায় ৯৭ শতাংশ পুরটাই পুকুর। শুধু তাই নয় ১৭-০২-২০২০ সনে মেয়র নজিপুর পৌরসভার নামে যে খারিজ হয়েছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে পুকুর। অথচ ৭২ সনের খতিয়ানের রেফারেন্স দিয়ে জমি রেজিস্ট্রী করা হয় ডোবা নাম করণ করে।
এমন অনিয়ম দেখে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক শর্তে এলাকার সচেতন সুধি সমাজগণ বলেন, সারাদেশে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা প্রথম শ্রেণীর পৌর ভবন নির্মাণ হচ্ছে যার মধ্যে আমাদের পত্নীতলার নজিপুর পৌরসভা ভবন একটি। এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য, পুকুর কে ডোবা বানিয়ে আমাদের যে নজিপুর পৌরসভা ভবন নির্মাণ হচ্ছে সেটি আদেও সঠিক ভাবে নির্মাণ হচ্ছে কী?

এ বিষয়ে নজিপুর পৌর মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরী 'র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, পুকুরে ভবন নির্মাণের জন্য আমাদের সরকারিভাবে অনুমোদন আছে। অনুমোদনের কপি চাইলে তিনি বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা ও অযুহাত দেখান।
জমির দলিলে এমন গোজামিল দেখে নজিপুর সাব রেজিস্টার মোছাঃ আমিনা বেগম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি আমার জানা নেই বলে এড়িয়ে যান। তাকে প্রশ্ন করা হয় তাহলে আপনি কাগজপত্র না দেখে স্বাক্ষর করেছেন দলিলে, তিনি জানান, দলিল লেখক দলিল লিখে আমাকে দিয়েছে আমি সকল কাগজপত্র দেখে স্বাক্ষর করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন সরকার জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। দেখে জানাবো।