ব্যাপক আয়োজন চলছিল কনের বাড়িতে। বর গেলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। কিন্তু হলো না বিয়ে। কনের বয়স কম হওয়ায় প্রশাসনের বাধায় বিয়ে ছাড়াই ফিরতে হলো বরকে।
জানা গেছে, নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের প্রবাসীর মেয়ের বয়স না হওয়ায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে সেই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এরপরই বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে শাহজালাল মিয়া (৩০) সেই হেলিকপ্টারে করেই বিয়ে ছাড়াই ফিরে যান।
পূর্বধলার ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, যে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছিল, সে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বয়স ১৮ পূর্ণ হয়নি, সে অপ্রাপ্তবয়স্কা। কিন্তু আইন অমান্য করে মেয়ে ও ছেলে পক্ষ বিয়ের আয়োজন করে।
বিয়েবাড়িতে গিয়ে কনের জন্মসনদ চাইলে তারা একটি ভুয়া জন্মসনদ হাজির করে। যাচাই করে জানা যায়, কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ অবস্থায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এজন্য বর ও কনে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয় বলে জানান ইউএনও।
তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও কনের পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি। অপরদিকে বিয়ে বন্ধ হওয়ার পর বরের বাড়ির লোকজনও পূর্বধলা ছেড়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, কনের বাবা দুবাইপ্রবাসী। তিনি খুব ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। দুপুরে বর হেলিকপ্টারে করে পূর্বধলা জেএম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামেন। তার পাশেই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
হেলিকপ্টারে চড়ে জামাই এসেছে- এ খবরে এলাকার বহু উৎসুক মানুষ সেখানে ভিড় জমান। তার পরই কনের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।