আগামী ১২ অক্টোবর রবিবার থেকে এ টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশু-কিশোরকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব তথ্য জানান।
মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোরকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। এ টিকা কার্যকর ও নিরাপদ জানিয়ে নির্দ্বিধায় সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ টিকা নয় মাস বয়স থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত সব শিশু-কিশোরকে দেওয়া হবে জানিয়ে বিশেষ সহকারী বলেন, নবম শ্রেণি পর্যন্ত যারা থাকবে তাদের এ টিকা দেওয়া হবে। বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ টিকাদান কর্মসূচির খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির উপ-পরিচালক ডা. মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, এ টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারের কোনো খরচ হচ্ছে না। টিকা ও প্রচারণাসহ পুরো খরচ দিচ্ছে ‘গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স’।
তিনি জানান, টাইফয়েডের এ টিকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি, কিন্তু কারিগরি সহযোগিতা করেছে ইংল্যান্ডের গ্লাক্সো স্মিথক্লাইন। সরকারের যে রুটিন টিকাদান কর্মসূচি, এর ৩০ শতাংশ টিকা সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসে। এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আরও ১০৯টি দেশে সরবরাহ করা হয়।