স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘প্রতিবাদ হলে তামাকের অবাধ বন্ধ হয়ে যাবে। তামাক বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দোষ শুধু সরকারের না, দোষ সবার। যার দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এবং যে ক্লাবে খাওয়া হয় সেগুলো বন্ধ করে দিন। এটা নাগরিকদের দায়িত্ব।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র-ডর্প আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমরা নিজেরা নিজেদের সচেতন করতে পারলে তামাকের আবাদ কমে যাবে। এক সময়ে স্যানিটারি লেক্টিনের ক্ষেত্রে আমরা সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি, যেটার সুফল আমরা পেয়েছি। তরুণদের বলব তোমরা সচেতন হও এবং দায়িত্ববান হও।’
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পেতে হবে জনস্বাস্থ্যের। তামাক শিল্পের স্বার্থের নয় এবং তামাক শিল্পের মতামত নেওয়ার জন্য কোনো পরামর্শ সভা আয়োজন করা যাবে না।’
সেমিনারে তামাক বিরোধী যুব প্রতিনিধি তাবাসসুম খানম রাত্রি এবং সবুর আহমেদ কাজল বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বসে তাদের মতামত গ্রহণ না করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করতে হবে।’